চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: এবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না বিএনপি-জামায়াতপন্থী কোনও শিক্ষক। তবে আওয়ামী ও বামপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন হলুদ দল থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২৩ জন প্রার্থী।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর ১টা পর্যন্ত ছিলো মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ১১টি পদের বিপরীতে মোট ২৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
হলুদ দল থেকে ১১টি পদের বিপরীতে ১১ জনকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ১২ জন। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সমাজবিজ্ঞান অনুষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি ছিল মনোনয়ন নেওয়া এবং জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। এতে হলুদ দল থেকে ১১টি পদে পূর্ণ প্যানেল মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক সমর্থিত সাদা দল এবং বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম থেকে কেউই মনোনয়নপত্র নেননি।
প্রার্থীরা হলেন-
সভাপতি পদে হলুদ দল থেকে মনোনীত রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী। একই পদে হলুদ দলের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন- ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মামুন ও যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সহিদ উল্লাহ্।
সহ-সভাপতি পদে হলুদ দল থেকে মনোনীত প্রার্থী নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলা উদ্দিন। একই পদে বিদ্রোহী প্রার্থী- বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদ।
কোষাধ্যক্ষ পদে হলুদ থেকে মনোনীত প্রার্থী- একাউন্টিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী আরশাদ চৌধুরী। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মীর সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী।
সাধারণ সম্পাদক পদে হলুদ দল থেকে মনোনীত ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবদুল হক। বিদ্রোহী প্রার্থী ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
যুগ্ম সম্পাদক পদে হলুদ দল থেকে মনোনীত ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুলতানা সুকন্যা বাশার।
সদস্য পদে হলুদ দল থেকে মনোনীত মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক এসএম সালামত উল্যা ভূঁইয়া, ওশানোগ্রাফী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. এনামুল হক, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী, ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৌমিতা পাল, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল করিম ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা।
এছাড়া সদস্য পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন- পালি বিভাগের অধ্যাপক ড. জ্ঞান রত্ন শ্রমণ, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ঝুলন ধর, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলম, ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের অধ্যাপক ড. মো. দানেশ মিয়া, আইন বিভাগের অধ্যাপক নির্মল কুমার সাহা ও অধ্যাপক ড. রকিবা নবী এবং মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৩
এমএ/পিডি/টিসি