চট্টগ্রাম: চারপাশের নান্দনিক সৌন্দর্য সবসময় আমাদের মুগ্ধ করে। এই সৌন্দর্যকে চিত্রবন্দি করে রাখতে পারলে এর মোহ থাকে দীর্ঘদিন।
হুইজ কমিউনিকেশন্সের ইভেন্ট পরিচালনায় এমনি একটি উদ্যোগ নিয়ে ৫ম বারের মতো মোবাইল ফটোগ্রাফি কন্টেস্ট আয়োজন করেছে কনফিডেন্স সল্ট লিমিটেড। ১ ফেব্রুয়ারি এই প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান হয়ে গেল জেলা শিল্পকলা একাডেমির আর্ট গ্যালারিতে।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রামের অনুষ্ঠান অধ্যক্ষ রুমানা শারমিন, চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, উদ্যোক্তা ও সংগঠক গোলাম বাকী মাসুদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান, কনফিডেন্স সল্ট লিমিটেডের হেড অব ফিন্যান্স আবু তৈয়ব, হুইজ কমিউনিকেশন্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাসুদ বকুল, দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি সাইফ চৌধুরী, কনফিডেন্স সল্ট লিমিটেডের হেড অব মার্কেটিং সরদার নওশাদ ইমতিয়াজ ও হুইজ কমিউনিকেশন্সের ডিরেক্টর (অ্যাডমিন অ্যান্ড অপারেশন্স) কাজী আরফাত।
অনুষ্ঠানের অতিথি রুমানা শারমিন বলেন, মোবাইল ব্যবহার করে যে অনেক সৃজনশীল কাজও করা যায়, এই প্রতিযোগিতা তারই প্রমাণ। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের ছবি দিয়ে ২০২৩ সালের কনফিডেন্স সল্টের ক্যালেন্ডার সাজানো হয়েছে। যা নিঃসন্দেহে বিজয়ীদের জন্য অনেক সম্মানের একটি বিষয়।
সাইফুল আলম বাবু বলেন, প্রত্যেক তরুণ সৃজনশীলতার অপার সম্ভাবনা নিয়ে বেঁচে থাকে। কেউ সেটাকে প্রকাশ করতে পারে, কেউ পারে না। সমাজের যারা অগ্রগ্রামী তাদের উচিত তরুণদের সৃজনশীলতাকে বিকশিত করার জন্য আরও বেশি এগিয়ে আসা। কারণ, একটি সৃজনশীল তরুণ প্রজন্মই পারে বাংলাদেশকে সুন্দর ও স্বপ্নময় করে গড়ে তুলতে।
অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান বলেন, মোবাইল ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা নিঃসন্দেহে দারুণ একটি প্রতিযোগিতা। এখানে ছবিগুলোকে একেবারে সাধারণ একজন মানুষের দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রতিযোগীদের ছবি দেখেই বোঝা গিয়েছিলো, আমাদের তরুণেরা কত সৃজনশীলভাবে বিভিন্ন জিনিসকে অবলোকন করতে পারে।
হুইজ কমিউনিকেশন্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ বকুল বলেন, তরুণদের মেধা ও মননকে একটু উৎসাহ দিলে ভালো কিছু করা সম্ভব। তার একটি উদাহরণ এই মোবাইল ফটো কনটেস্ট। ছবি তোলার ক্ষেত্রে আমাদের তরুণদের যে সৃজনশীলতা, তা এই প্রতিযোগিতার মাধ্যেমে উঠে এসেছে।
এবারের প্রতিযোগিতায় সারাদেশ থেকে প্রায় ৩৫০০টি ছবি জমা পরে। যার মধ্য থেকে বিচারকদের রায়ে ৬টি ছবি চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা হলেন- ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না (জয়পুরহাট), মাসুম চৌধুরী (নারায়ণগঞ্জ), বিপুল আহমেদ (জয়পুরহাট), শাহনাজ সিদ্দিকী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), রাব্বী হোসেঈন (ময়মনসিংহ) ও আবির আহমেদ সুপ্ত (নেত্রকোনা)।
পুরস্কারস্বরূপ বিজয়ীদের নগদ প্রাইজমানি, সনদপত্র, মনোনীত ছবিযুক্ত ফ্রেম, ক্যালেন্ডার এবং অন্যান্য উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৩
এসি/টিসি