ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সারাদেশে ১১ ফেব্রুয়ারি বিএনপি পদযাত্রা করবে: নজরুল ইসলাম 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩
সারাদেশে ১১ ফেব্রুয়ারি বিএনপি পদযাত্রা করবে: নজরুল ইসলাম 

চট্টগ্রাম: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আমরা একবার বাকশালের গোরস্থানের উপর জিয়াউর রহমানের হাত ধরে গণতন্ত্র পেয়েছিলাম। পরে স্বৈরাশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে খালেদা জিয়ার হাত ধরে গণতন্ত্র পেয়েছি।

এবার আমরা তারেক জিয়ার হাত ধরে এ সরকারের হাত থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব। বিএনপি বারবার বিজয় হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে।
এবারও করবে।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) বিকালে নগরীর কাজীর দেউড়িতে  বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দেশের সকল ইউনিয়নে বিএনপি পদযাত্রা করবে। আমরা কর্মসূচি দিলেই এ সরকার বাঁধা দেয়। আমরা দেখতে চাই সারা বাংলাদেশের কয়টা ইউনিয়নে তারা বাঁধা দিতে পারে। সব ইউনিয়নের সকল নারী-পুরুষ পদযাত্রায় অংশগ্রহন করবে।

সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সারাদেশে চলছে জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে চায় না। তারা যদি আগামীতে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে চাইতো, তাহলে তারা জনগণকে কষ্ট দিতে পারতো না। তারা চায় আবারও ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আসতে। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এ সরকারের পতন হবে। আর সে পতনের অংশীদার হব আমরা।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার নিজেরা সংবিধানকে লঙ্ঘন করে আবার সেটা প্রয়োগের কথা বলছে। দেশের আজকের চলমান পরিস্থিতির উপরে এ সরকারের পতনের আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। তাই এ সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের আন্দোলন আরও গতিশীল করতে হবে। আমরা একটা মহাযুদ্ধের মধ্যে আছি। এ যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে। এ যুদ্ধ গণতন্ত্রের লড়াইয়ের যুদ্ধ, মানুষের ভোটের যুদ্ধ। আমাদের দেশের মানুষ আজ না খেয়ে আছে।  

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মীর মো. নাছির উদ্দিন বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেন তারা মিছিল করলে আমরা নাকি পালানোর জায়গা পাবো না। আজ এসে তিনি দেখে যাক মানুষের এই জনসমুদ্র। আমরা যদি ঘোষণা দিই আজ থেকে বাংলাদেশ বন্ধ তাহলে আপনাদের সে ক্ষমতা নেই আবার চালু করার। তারা নাকি স্মার্ট বাংলাদেশ করবে! দুর্নীতিবাজদের মুখে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা মানায় না। বাংলাদেশের গণতন্ত্র আবার ফিরিয়ে আনতে আরেকটা গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে হবে।  

বিভাগীয় সমাবেশের সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, আজকে চট্টগ্রাম মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছে। এই সমাবেশের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতনের ঘণ্টা বেজে গেছে। জনগণ রাস্তায় নেমেছে, ভালোয় ভালোয় বিদায় নেন, পালাবার পথ পাবেন না। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আজকের এই বিশাল সমাবেশ প্রমাণ করেছে চট্টগ্রাম বিএনপির ঘাটি। এই সমাবেশ থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবী করছি।  

মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ভিপি, গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, 

এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদের স্ত্রী হাসনা মওদুদ। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মৎস্যজীবী সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, উপজাতি সম্পাদক মা ম্যা চিং, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, হারুনুর রশীদ ভিপি, সহ কর্মসংস্থান সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ ভূইয়া, সহ গ্রাম সরকার সম্পাদক বেলাল আহমদ, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৩ 
এমআই/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।