চট্টগ্রাম: প্রশিক্ষিত জনবলের অভাবেই ছোট অগুন বড় অগ্নিকাণ্ডে পরিণত হয় বলে মন্তব্য করেছেন ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক মো. আব্দুল হালিম।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা, অগ্নিনির্বাপণ ও রক্তদান সম্পর্কিত এক কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
মো. আব্দুল হালিম বলেন, প্রশিক্ষণের অভাবে গার্মেন্টস বা বিভিন্ন জায়গায় অল্প আগুন বিস্তৃতি লাভ করে।
সংগঠনের সদস্য তামান্না আক্তারের সঞ্চালনায় কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন 'কনিকা'র সভাপতি কফিল উদ্দীন। প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. বেনু কুমার দে। তিনি বলেন, কনিকার মতো একটি রক্তদাতা সংগঠন এমন সচেতনতামূলক আয়োজন করেছে এটা দেখে আমি সত্যিই অভিভূত। তাদের এ পথচলা সুগম হোক এটাই কামনা করি।
কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এ সময় অংশগ্রহণকারীদের ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় প্রাথমিকভাবে আগুন নির্বাপণ ও কোথাও আগুন লাগলে প্রাথমিক করণীয় সম্পর্কে জানানো হয়।
এ সময় অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌলা, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আলী আজগর চৌধুরী, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমন গাঙ্গুলি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২০১২ সালের এপ্রিলে রক্তদান বিষয়ক সচেতনতা তৈরিতে যাত্রা শুরু করে কণিকা। চট্টগ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তিন তরুণ সাইফুল্যাহ মনির, সাঈদ আহমদ নসিফ ও মহসিন রনির হাত ধরে যাত্রা করে এ সংগঠন। শুরুতে 'কণিকা ব্লাড ব্যাংক' নামক একটা ফেসবুক পেজ থেকে অনলাইনে কাজ শুরু করেন তারা। পরের বছর 'কণিকা ব্লাড ব্যাংক' নামক সংগঠন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কাজ শুরু করেন অফলাইনে। ওই বছর একুশ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশ থেকে যাত্রা শুরু করে কণিকা ব্লাড ব্যাংক। এর এক বছর পর ২০১৪ সালে সংগঠনটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় 'কণিকা-একটি রক্তদাতা সংগঠন' নামে।
জরুরি প্রয়োজনে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও রক্তদানে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করেন কণিকা’র সদস্যরা। এর পাশাপাশি শীতবস্ত্র বিতরণ, ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন, ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ বিতরণসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে সংগঠনটি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৩
বিই/টিসি