চট্টগ্রাম: আয়ুর্বেদ রোগের বিরুদ্ধে শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরের খুলশীর একটি রেস্টুরেন্টে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে আয়ুর্বেদকে একীভূত করা’ শীর্ষক এ কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকার মিরপুর আয়ুর্বেদ ও ইউনানি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. স্বপন কুমার দত্ত। এ সময় ভারতীয় দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব উদত ঝা, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চৌধুরীসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।
আয়ুর্বেদের চিকিৎসা ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত উল্লেখ করে রাজীব রঞ্জন বলেন, আয়ুর্বেদ প্রাচীন ভারতীয় জ্ঞানের একটি গর্বিত ঐতিহ্য। সাধারণ সুস্থতার পাশাপাশি প্রতিরোধমূলক শরীরের জন্য ঐতিহ্যগত ওষুধ এবং নিরাময়মূলক স্বাস্থ্যসেবা। আয়ুর্বেদ হলো শরীর, মন এবং আত্মা দ্বারা সম্প্রীতি তৈরি করার অন্তর্দৃষ্টি ভারসাম্যপূর্ণ জীবনধারা এবং খাদ্য ও প্রাকৃতিক ভেষজ ব্যবহার। টেকসই স্বাস্থ্যসেবা তখনই সম্ভব হবে, যখন আমরা নিজেদের চিকিৎসা নিজেরা ঠিক রাখব। আয়ুর্বেদ রোগের বিরুদ্ধে শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
বাংলাদেশে আয়ুর্বেদের ব্যবহার তুলনামূলকভাবে কম জানিয়ে আয়ুর্বেদ ও ইউনানি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার দত্ত বলেন, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা বলতে ভেষজ বা উদ্ভিদের মাধ্যমে যে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে বোঝানো হয়। এই চিকিৎসা পাঁচ হাজার বছরের পুরাতন। আদি যুগে গাছপালার মাধ্যমেই মানুষের রোগের চিকিৎসা করা হতো। বর্তমানে প্রায় দুই শতাধিক আয়ুর্বেদ ওষুধের কোম্পানি রয়েছে। এটি এমনই এক চিকিৎসা পদ্ধতি যাতে রোগ নিরাময়ের চেয়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার প্রতি বেশি জোর দেওয়া হয়। রোগ নিরাময় ব্যবস্থা করাই এর মূল লক্ষ্য। বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানে এই চিকিৎসা প্রচলিত। পাশাপাশি উন্নত বিশ্বেও এই চিকিৎসা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কারণ মডার্ন অ্যালোপ্যাথি অনেক ওষুধেরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। বাংলাদেশে এর ব্যবহার তুলনামূলকভাবে কম। কারণ মানুষ প্রতিকার তাড়াতাড়ি চায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৩
এআর/টিসি