চট্টগ্রাম: ঈদের ছুটিতে ফাঁকা নগর। দেখে বোঝার উপায় নেই মাত্র কয়েকদিন আগেও ছিল নগরজুড়ে ব্যস্ততা।
সড়কে পর্যাপ্ত সংখ্যক গণপরিবহন না থাকায় রিকশা এবং সিএনজি অটোরিকশা করে মানুষ যাচ্ছে গন্তব্যে।
অন্যদিকে ঠিক উল্টো চিত্র নগরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। সড়ক ফাঁকা থাকলেও বিনোদন কেন্দ্রগুলো ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের কোলাহলে মুখর সব পর্যটনকেন্দ্র। উন্মুক্ত বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
সবচেয়ে বেশি জনসমাগম ছিল পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায়। বিকেল হতেই হাজার হাজার মানুষের মিলনমেলায় মুখর হয়ে উঠে পুরো সৈকত এলাকা। কেউ মেতে ওঠেন সমুদ্রস্নানে, অনেকে চড়েন স্পিডবোটে, কেউ কেউ ঘোড়ার পিঠে। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পরিবার আর বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান সৈকতে। এছাড়াও মেরিন ড্রাইভ সড়কও ছিল মানুষে ঠাসা।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মোহাম্মদ নাজমুন নুর বাংলানিউজকে বলেন, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সৈকতে ফুট পেট্রল, মোটরসাইকেল, মোবাইল টহল বাড়ানো হয়েছে, যাতে নারী পর্যটকরা কোনো হয়রানির শিকার না হন।
এছাড়া চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, কাজির দেউড়ি শিশুপার্ক, ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, ভাটিয়ারি গলফ ক্লাব, আগ্রাবাদ জাম্বুরি মাঠ পার্ক, ওয়ার সিমেট্রি, সিআরবি, নেভাল ছিল লোকে লোকারণ্য।
নগরের বাইরে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের মহামায়া লেক, আনোয়ারায় পারকি সমুদ্র সৈকত, বাঁশখালী ইকোপার্ক ও সমুদ্র সৈকত, রাঙ্গুনিয়ার এভিয়ারি পার্কসহ জেলার গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন বিনোদন স্পটেও বিনোদনপ্রেমী মানুষ ছুটছেন ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৩
এমআই/পিডি/টিসি