চট্টগ্রাম: কলেজছাত্রীকে হোটেলে তুলে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমানের মামলার রায় পিছিয়ে আগামী ১৫ মে নির্ধারণ করেছেন আদালত।
বুধবার (১০ মে) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এই নতুন তারিখ ঘোষণা করেন।
মামলার অন্য দুই আসামি শামসুদ্দিন মজুমদার ও তাজুল ইসলামের বিচার কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্টের আদেশে স্থগিতাদেশ থাকায় শুধুমাত্র মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিচার সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছর ৩০ এপ্রিল ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার (১০ মে) এই মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট খন্দকার আরিফুল আলম বলেন, আদালতে এই মামলায় দুই আসামির বিচার কার্যক্রমে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিষয়ে তাঁদের আইনজীবী তুলে ধরেছিলেন। সেই প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হাইকোর্টের ওই স্থগিতাদেশের সর্বশেষ অবস্থা জানানোর জন্য আদেশ জারি করে রায়ের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৫ মে নির্ধারণ করেছেন। এ ঘটনায় চকবাজারের ওই হোটেলের দুই কর্মচারীকেও আসামি করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ১২ জুলাই চট্টগ্রাম নগরের ফয়’স লেক এলাকা থেকে ইস্পাহানি স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী ও তার বন্ধুকে তুলে নিয়ে যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান ওরফে ওসি মিজান। এরপর মেয়েটিকে চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার এলাকার একটি হোটেলে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালান ওসি মিজান। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৬ জুলাই মেয়েটির বাবা হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে চট্টগ্রাম পাঁচলাইশ থানায় ওসি মিজানসহ তিনজনকে আসামি করে দুটি মামলা দায়ের করেন। পরে ওই বছরের ১ ডিসেম্বর ওসি মিজানসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এরপর শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।
এর আগে এ ঘটনার পর প্রায় সাড়ে তিন মাস পলাতক থাকা ওসি মিজানুর রহমান ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে হাজির হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান। ২০১২ সালের জুলাই মাসে হাইকোর্টের আদেশে তিনি জামিনে মুক্তি পান। ওই ঘটনায় তিনি পুলিশের চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তও হন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৩
পিডি/টিসি