ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

২০ বছর পর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৭ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৩
২০ বছর পর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার ...

চট্টগ্রাম: হাটহাজারীতে ডাকাতির সময় ডাকাত দলকে চিনে ফেলায় জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দিদারুল আলমকে ২০ বছর পর গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন।

বুধবার (১৭ মে) সকালে নগরের চান্দগাঁও র‌্যাব-৭ এর মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান এই তথ্য জানান।

 

দিদারুল আলম প্রকাশ দিদার (৪৫) হাটহাজারী থানার ফটিকালতি এলাকার মৃত সৈয়দ আহাম্মদের ছেলে।  

মেজর মেহেদী হাসান বলেন, ২০০৩ সালের ২৫ নভেম্বর হাটহাজারী থেকে মোহাম্মদপুরগামী রাস্তায় অবস্থান নিয়ে সাধারণ লোকজনকে আটক করে তাদের হাত পা বেঁধে নির্যাতন ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে লুটপাটের সময় জাহাঙ্গীর আলম রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন।

ডাকাত দল জাহাঙ্গীরকে আটক করে তার সঙ্গে থাকা টাকা পয়সা ও অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তাদের চিনে ফেলেন এবং চিৎকার শুরু করেন। ডাকাত দলের সদস্যরা বিষয়টি আঁচ করতে পেরে জাহাঙ্গীর আলমের উরুতে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো ছুরি দিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।  

জাহাঙ্গীর আলমের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে মুমূর্ষু অবস্থায় এবং মো. ফজল ড্রাইভারসহ আর ৭ থেকে ৮ জনকে হাত-পা বাঁধা ও আহত অবস্থায় দেখতে পায়। পরবর্তীতে জাহাঙ্গীর আলমকে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু হয়। নিহত জাহাঙ্গীর আলমের প্রতিবেশী মো. ফজল আহাম্মদ ড্রাইভার ডাকাতির ঘটনায় বাদী হয়ে গত ২০০৩ সালের ২৯ নভেম্বর হাটহাজারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।  

হাটহাজারী র‌্যাব-৭ ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. জুনায়েদ বলেন, মামলা দায়ের হওয়ার পর ওইদিন রাতেই দিদারুল আলম প্রকাশ দিদারকে হাটহাজারী থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। কিছুদিন জেল হাজতে থাকার পর আসামি দিদারুল আলম জামিনে মুক্তি পেয়ে বের হয়। পরবর্তী সময়ে আসামি দিদারুল আলম পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। ২০২২ সালের ৩০ মে  আদালত আসামি দিদারুল আলম প্রকাশ দিদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। অন্য একটি ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।  

তিনি আরও বলেন, পলাতক দিদারুল আলম নগরের ফিরিঙ্গী বাজার এলাকায় আত্মগোপনে থাকার সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত পৌনে দশটার দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ নগরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিল। তার বিরুদ্ধে  হাটহাজারী থানায় ডাকাতি, ডাকাতির প্রস্তুতি এবং মাদকের তিনটি মামলা রয়েছে।  আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫০  ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৩
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।