চট্টগ্রাম: মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরাসরি হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২২ মে) বিকেলে নগরের আন্দরকিল্লা চত্বরে শেখ হাসিনার প্রাণনাশের হুঁমকির প্রতিবাদের চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব একথা বলেন।
আমাদের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও শেখ হাসিনাকে রক্ষা করবো জানিয়ে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, তাহলেই বাংলাদেশ বাঁচবে, বাঙালি বাঁচবে। আমাদের জাতিসত্ত্বা রক্ষায় এখন থেকেই ঘরে ঘরে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। আমাদের জানিয়ে দিতে হবে, এটা ১৯৭৫ সাল নয়, এইটা ২০২৩ সাল। আজ এই বাংলাদেশে যারা আগুণ নিয়ে খেলবে তাদেরকে সেই আগুনে পুড়ে ছাইভস্ম হতে হবে। এজন্য প্রতি ইউনিটে ওয়ার্ডে থানায় জনগণকে সংগঠিত করে প্রতিরোধের দূর্গ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, আমরাও পাল্টা হুঁমকি দিতে চাই জনগণের আস্থা ও ভালবাসা নিয়ে। সুতরাং আমাদের ভয় পাবার কিছু নেই। এখন থেকে মহল্লায় মহল্লায় যেতে হবে এবং একাত্তরের ঘাতকের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে লালকার্ড ঝুঁলিয়ে দিতে হবে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী শক্তি। এই বিজয় আমাদের অহংকারের তিলক। এই তিলক যারা মুছে দিতে চায় তাদের মুছে দিয়ে ছাইভস্ম করার জন্য আমাদের নেতাকর্মীদের এখনই জেগে উঠতে হবে
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, আমরা চিনে রেখেছি ওই আমীর খসরুকে। তার বাবা একাত্তরে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিল। এই আমীর খসরু তার বাবার মতই একজন কুলাঙ্গার, দেশাদ্রোহী। তাকে সামনা সামনি রুখবো। আমাদের দল ক্ষমতায় আছে তাই কিছু সহনশীলতা প্রদর্শন করছি। ধৈর্য্যের বাধ ভেঙে গেলে আমরা আবার গর্জে উঠবো। আমাদের কাছে একাত্তরের হাতিয়ার আছে। সেই হাতিয়ারকে একটু সানিত করলেই পাপীষ্ঠদের চিহ্ন মুছে দিতে পারি।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় সমাবেশ বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি প্রমুখ।
সমাবেশে নগরের ১৫টি থানা, ৪৩ সাংগঠনিক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২৩
এমআই/পিডি/টিসি