চট্টগ্রাম: বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত চালানের শুল্ক একসাথে আদায়ের পরিবর্তে ধাপে ধাপে আদায়ের দাবি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বরাবর চিঠি দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহ–সভাপতি এএম মাহাবুব চৌধুরী।
মঙলবার (২৩ মে) প্রেরিত চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, দেশের বৃহৎ একেকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাস্টমস শুল্কের পরিমাণ শত শত কোটি টাকার অধিক।
আরও জানা যায়, বন্ড সুবিধাপ্রাপ্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর বন্ড কাস্টমস কর্তৃক শুল্ক আদায়ের পরিবর্তে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসকে বন্ডের পণ্য চালানের শুল্ক একত্রে প্রদান করলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস থেকে চালান ছাড় হচ্ছে না। যার কারণে একাধিক বন্ড কাস্টমস কর্তৃক শুল্ক আদায় কম হচ্ছে। অন্যদিকে বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত সমস্ত টাকা একসাথে প্রদান করতে শিল্প-কারখানাগুলো হিমশিম অবস্থা। আবার এত টাকা একত্রে প্রদানের জন্য উচ্চহারে ব্যাংক ঋণের সুদ প্রদানে শিল্প পরিচালনা খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে দেশে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে এবং দেশের অনেক শিল্প অর্থ যোগানে ব্যর্থতার কারণে শিল্পায়ন সংকুচিত হচ্ছে।
আরও জানা গেছে, অনেক গ্যালভানাইজিং ফ্যাক্টরি, যারা বিদেশে রপ্তানি করেন তারা এইচআর কয়েল আমদানির বিপরীতে বিশাল অংকের কাস্টমস শুল্ক একত্রে যোগানে অপারগ হেতু উৎপাদন তথা দেশিয় পণ্য রপ্তানি কমিয়ে দিয়েছে। যার ফলে দেশিয় পণ্য রপ্তানি ও দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এমতাবস্থায় দেশের শিল্পোন্নয়নের স্বার্থে প্রস্তাব করা হয়, যেহেতু বন্ডের মাধ্যমে আমদানিকৃত চালানের শুল্ক দুইদিন আগে পরে সরকার পাবেই, তাই কাস্টমস্ আইন ১৯৬৯ অনুসরণে বন্ডের আমদানি চালানসমূহের সমস্ত শুল্ক একত্রে আদায়ের পরিবর্তে বন্ড কাস্টমস্ কর্তৃক ধাপে ধাপে শুল্ক আদায়ের রীতির ভিত্তিতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ কর্তৃক শুল্ক ছাড় দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হোক।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৩
এসি/টিসি