চট্টগ্রাম: প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সমাজ অধ্যয়ন কেন্দ্রের সভাপতি ড. অনুপম সেন বলেছেন, নাসিমুল গণিকে নব্বই দশক থেকে চিনি। তাকে ভোলা যায় না।
‘৩০ বছর আগে একক উদ্যোগে বইমেলা করতে গিয়ে তিনি অনেক অর্থ খরচ করে ফেলেছিলেন। নিজের সব উজাড় করে দিয়ে কিসে মানুষের কল্যাণ হয় তাই তার চিন্তা ছিল। নিজের সময়কে জয় করে তিনি চলে গেছেন। নাসিমুল গণি সেরকম এক মানুষ যাকে অনেকদিন পরও মানুষ মনে রাখবে’।
সমাজ অধ্যয়ন কেন্দ্রের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও প্রগতিশীল সামাজিক আন্দোলনের সংগঠক নাসিমূল গণির অকাল প্রয়াণে সমাজ অধ্যয়ন কেন্দ্র আয়োজিত স্মরণসভা চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার (২৬ মে) সন্ধ্যায়।
১৪ দল চট্টগ্রামের সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, নাসিমুল গণি হঠাৎ চলে গেছেন। তার সহযাত্রীরা সকলেই আছেন। সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে স্বাধীনতার চেতনা রক্ষা করতে হবে। কোন দল ভালো কোন দল খারাপ সেটা প্রশ্ন নয়। প্রশ্ন হলো দেশকে এগিয়ে নেওয়া। সমাজে মুক্ত আলোর জন্য সব দরজা খুলতে হবে। মুক্ত আলোচনা করতে হবে। কারণ হাজার মানুষ ভালো চিন্তা করে। নাসিমুল গণির সেই ভাবনাকেই এগিয়ে নিতে হবে।
গবেষক শরীফ শমসির বলেন, জীবিতকালে নাসিমুল গণি সকলের সাথে সম্পর্কিত ছিলেন। আজো তিনি আমাদের সাথে সম্পর্কিত। নাসিমুল গণি একজন সমাজ দরদী, চট্টগ্রামকে খুব ভালোবাসত, প্রগতিশীল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতো।
স্মৃতিচারণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু হানিফ, জাসদ নেতা মো. সোলায়মান খান, অ্যাডভোকেট মজিবুল হক, দেওয়ান মাকসুদ, জাসদ নেতা জসিম উদ্দিন বাবুল, নাসিমুল হক নবাব, সুজাউদ্দিন জাফর, কাজী এ এম এমমমতাজুল ইসলাম, কবি ও নাট্যকার অভীক ওসমান, ইউসুফ মোহাম্মদ, সাইফুদ্দিন সাকী, ডা. দেবাশীষ চৌধুরী, নুরুল আবছার চৌধুরী আশু, অধ্যাপিকা নারগিস আক্তার, নাসিমুল গণির ছেলে ফাহিম শাহরিয়ার আকাশ। স্মরণসভায় নাসিমুল গণির জীবনী পাঠ করেন জামাল নাসের চৌধুরী। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন মনসুর মাসুদ। স্মরণসভা পরিচালনা করে শরীফ চৌহান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৩
এসি/টিসি