চট্টগ্রাম: সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার আসামি মো.খাইরুল ইসলাম কালুকে সাত বছর পালিয়ে থাকার পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিট।
শুক্রবার (২ জুন) রাত ২টার দিকে নগরের আকবর শাহ থানাধীন ছিন্নমূল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা জানান, মিতু হত্যাকাণ্ডের পর থেকে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে ছিলেন কালু। বিভিন্ন ছদ্মবেশ নিয়ে কালু গত সাত বছর ধরে গ্রেফতার এড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন। নগরের আকবর শাহ এলাকায় একটি ভবনে দারোয়ানের চাকরি করতেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার পাশাপাশি বিদেশযাত্রা ঠেকাতে পাসপোর্ট জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। তাকে রাঙ্গুনিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মিল্কি জানান, পাঁচলাইশ থানা ও রাঙ্গুনিয়া থানার মামলায় খাইরুল ইসলাম কালুর বিরুদ্ধে দুটি গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। সেই দুটি পরোয়ানামূলে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মিতু হত্যা মামলায় আসামিরা হলেন- বাবুল আক্তার, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা ও খায়রুল ইসলাম। এ সাত আসামির মধ্যে চারজন কারাবন্দি। ভোলা জামিনে এবং মুছা রয়েছেন নিখোঁজ।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি আসামিদের আদালতে হাজির না করায় অভিযোগ গঠন পিছিয়েছিল। এর আগে ৩১ জানুয়ারি মিতু হত্যায় চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. জেবুন্নেছা বেগমের আদালত বিচার শুরুর নির্দেশনা দিয়ে তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে নথি পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে ২ হাজার ৮৪ পৃষ্ঠার চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এই অভিযোগপত্র গত ১০ অক্টোবর গ্রহণ করেন আদালত।
২০১৬ সালের ৫ জুন নগরের জিইসি মোড় এলাকায় খুন হন মাহমুদা খানম মিতু।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২৩
এমআই/টিসি