চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: শিক্ষকরা এখন চাকরি করেন, শিক্ষকতা করেন না। তাই মর্যাদার জায়গাটিও কমে গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিষয়ে ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন এ মন্তব্য করেন। তাঁর এমন সমালোচনা শুনে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীদের করতালি দিতে দেখা যায়।
রোববার (৪ জুন) দুপুরে চবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় দুইটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছেন। একটি শিক্ষা, অন্যটি ভাষা। কিন্তু আজকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইতিহাস এবং বাংলা বিভাগ নেই। আমি এটাকে দেশদ্রোহিতা বলে মনে করি।
শিক্ষামন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘একটা নীতি নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত- যে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে সেখানে বাংলা এবং ইতিহাস বিভাগ রাখতে হবে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে লেকচার দিতে আদেশ দেওয়া হয়েছে। এগুলো সংবিধানবিরোধি কাজ।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ‘পদাধিকারবলে বুদ্ধিজীবী’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মাতামাতির শেষ নাই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আজ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কোন অভিসন্দর্ভ হয়নি। জাতীয় চার নেতার উপরও হয়নি।
মুনতাসীর মামুন আরও বলেন, আমাদের শিক্ষকরা এখন চাকরি করেন, শিক্ষকতা করেন না। চাকরি করলে ছাত্র ও রাজনীতিকদের শ্রদ্ধা অর্জন করতে পারবেন না। বরং শিক্ষকরা রাজনীতিকদের দ্বারে গিয়ে বসে থাকেন।
চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতারের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি হিসাবে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক এবং চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী। পরে চবির নবনির্মিত মেরিন সায়েন্স এন্ড ফিশারিজ একাডেনিক ভবন উদ্বোধন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২৩
এমএ/পিডি/টিসি