চট্টগ্রাম: মাইলেজ জটিলতা নিরসনসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং কর্মচারী ঐক্য পরিষদ।
রোববার (৪ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন তারা।
চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে আগামী ১৩ জুন এর মধ্যে রানিং স্টাফদের ৭৫ শতাংশ মাইলেজ যোগে মেনশন ও আনুতোষিক নিষ্পত্তি করা, আইবাস++ পদ্ধতিতে রানিং স্টাফদের বেতন-ভাতা প্রদান, নিয়োগ বিধি-২০২০ সংশোধন করে যোগ্যদের পদোন্নতি দেওয়া এবং আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক লোক নিয়োগ বন্ধ করা।
সমাবেশে রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান বলেন, আগামী ১৩ জুনের মধ্যে মাইলেজ জঠিলতা সম্পর্কিত অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রত্যাহার আদেশ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগীয় দপ্তরে প্রেরণ এবং পেশকৃত দাবীসমূহ সুরাহা করতে হবে। অন্যথায় ১৪ জুন থেকে রানিং স্টাফরা নিয়মানুযায়ী পরিপূর্ণ বিশ্রাম ছাড়া অতিরিক্ত কোন ডিউটি করবে না। নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত নিজ পদের বাইরে কোনো কাজ করবে না। সবাই কেবল নিয়মতান্ত্রিক ৮ ঘন্টা ডিউটি করবে।
রেলওয়ে গার্ডস কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রোকন উদ্দিন বলেন, ব্রিটিশ শাসনামল থেকে রেলওয়ে শ্রমিক কর্মচারীরা মাইলেজ পান। মাইলেজ মানে রেলওয়ের লোকবল কম থাকায় শ্রমিকরা অতিরিক্ত ডিউটি করেন। এই অতিরিক্ত ডিউটির জন্য তারা বেতনের সঙ্গে আলাদা অর্থ পেয়ে থাকেন। কিন্তু ২ তিন বছর আগে হঠাৎ মাইলেজ সুবিধা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পরে আমাদের আন্দোলনের মুখে এই সিদ্বান্ত থেকে ফিরে আসে তারা। কিন্তু পরে মাইলেজ দেওয়ার কথা বললেও রিটায়ার্ডের পর ৭৫ শতাংশ মাইলেজ যোগে আনুতোষিক ও পেনশনের বিষয়ে অর্থ বিভাগের আপত্তির কথা জানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, আসলে পাকিস্তানি দোসররা এখনও সব জায়গায় রয়ে গেছে। এখানে কতিপয় ব্যক্তি আমাদের মাধ্যমে সরকারকে বেকাদায় ফেলতে চায়। তারা জানে বিষয়টি সুরহা না হলে আমরা আন্দোলন করবো। আন্দোলন করলে রেল বন্ধ থাকবে। সরকার বেকাদায় পড়বে। কিন্তু আমরা সেদিকে যাচ্ছি না। ১৩ জুনের মধ্যে মাইলেজ জটিলতার বিষয়টি সুরহা না হলে আমরা অন্যান্য সরকারি শ্রমিকদের মত ৮ ঘন্টা ডিউটি করবো।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪০ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২৩
বিই/পিডি/টিসি