চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: ‘রমজাইন্নারে (শাখা ছাত্রলীগের উপ-দফতর সম্পাদক রমজান হোসাইন) মারতে হইছে আমার? আমারে চিটাং ভার্সিটির সবাই ভয় পায়। তুই শুধু আমার পাশে থাক, বাকি কাজ অটো হয়ে যাবে।
কথাগুলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের।
বুধবার (০৭ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। এতে সম্প্রতি নিজ গ্রুপের এক কর্মী আহত হওয়ার ঘটনা টেনে আনতে দেখা যায় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হক রুবেলকে।
এদিকে ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর ওই কর্মীকে মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে রেজাউল হক রুবেলকে ক্যাম্পাস থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে তার গ্রুপ সিএফসি’র অনুসারীরা। বুধবার (০৭ জুন) রাত ১টার দিকে শাহ আমানত হলের সামনে ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায় সিএফসির কর্মীদের।
জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, আমি আমার বাবা-মাকে হজে পাঠানোর কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এটা সুপার এডিটেড। আমার বিভিন্ন কথাবার্তাকে কেটে এই অডিও রেকর্ডটা বানানো হয়েছে। মারামারি থেকে শুরু করে পুরো ঘটনা তারাই সাজিয়েছে।
শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও সিএফসি গ্রুপের নেতা সাদাফ খান বাংলানিউজকে বলেন, কল রেকর্ডে শুনা যাচ্ছে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হক রুবেল উপ-দপ্তর সম্পাদক রমজানকে কোপ খাওয়ানোর কথা শিকার করছেন। এটি আদর্শ বহির্ভূত কাজ। এ ধরনের লোকের কাছে সংগঠন নিরাপদ নয়। আমরা চাই এ মেয়াদোত্তীর্ণ ও বিতর্কিত কমিটির হাত থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রেহাই পাক।
এর আগে গত ১ জুন ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ চলাকালে শাখা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক রমজান হোসাইনকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষের কর্মীরা। এ ঘটনার ৫ দিন পরেই রমজান হোসাইন সম্পর্কে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের এমন মন্তব্যের একটি ফোনালাপ ফাঁস হলে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এছাড়া সভাপতির রুমও ভাংচুর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০২৩
এমএ/টিসি