চট্টগ্রাম: দেশের অন্যতম বড় শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ ও চীনের সেপকো থ্রির মালিকাধীন এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের ১ নম্বর ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হচ্ছে চার-পাঁচ দিন পর। গত ২৪ মে বেলা ২টা থেকে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে স্থাপিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ১ মেগাওয়াট দিয়ে সরবরাহ শুরু করেছিল।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চট্টগ্রাম বিতরণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বলেছেন, এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট সূত্রে জানা গেছে আগামী ১৩ জুন কয়লার নতুন চালান দেশে এসে পৌঁছাতে পারে। এরপরই বাঁশখালী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে ফিরবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, বর্তমান অবস্থায় এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৪০০-৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে নেওয়া সম্ভব।
এর আগে ডলার-সংকটে কয়লা না থাকায় গত ৫ জুন পুরোপুরি উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের।
এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের উপপ্রকল্প পরিচালক (ইলেকট্রিক্যাল) প্রকৌশলী মো. ফয়জুর রহমান এর আগে জানিয়েছিলেন জানান, ১ নম্বর ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ।
সূত্র জানায়, গত ১৪ জানুয়ারি বেলা ১টা ৫৬ মিনিটে বাঁশখালীর ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টটি জাতীয় গ্রিডের ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের সঙ্গে যুক্ত হয়। বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে বাঁশখালীর গণ্ডামারা এলাকায় স্থাপিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এস আলম গ্রুপ ও চীনের সেপকো থ্রির যৌথ মালিকানাধীন। এটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হলেও সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির কারণে পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা নেই। এই প্রযুক্তিতে কম কয়লা পুড়িয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। বাংলাদেশের শতভাগ বিদ্যুতায়ন ও শিল্পায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এ প্রকল্প।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি