চট্টগ্রাম: আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের ছোট বড় ৩৫০টির মতো খামারে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বাজারে দাম পাওয়ায় গেল কয়েক বছরে চট্টগ্রামে গরুর খামারের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বেড়েছে।
খামারিরা বলছেন, কোরবানি ঈদে চট্টগ্রামবাসীর প্রথম পছন্দ ‘রেড চিটাগাং’ গরু। এই গরুকে চট্টগ্রামের বিশেষ জাতের লাল বিরিষও বলা হয়। আকারে ছোট হলেও গরুগুলো দেখতে সুন্দর এবং সতেজ। এসব গরুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এগুলো লাল বর্ণের। এছাড়া নেপালী গীর, দেশাল, শাহী ওয়াল, রেড চিটাগাং, পাকড়া, ফ্রিজিয়ান, ইন্ডিয়ান গরু, ব্রাহমা অন্যান্য গরুর চাহিদা রয়েছে বাজারে।
সম্প্রতি প্রাকৃতিক উপায়ে দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করা গরুকে কিনতে চান ক্রেতারা। এজন্য খামারিরাও তাই এ পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করছেন।
রাজ এগ্রো ফার্মস এর সত্বাধিকারী মঈন মাশরুর আহমেদ বলেন, খামারে দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করেছি। দুই ইউনিটে খামারে দেড় শতাধিক গরু থাকলেও এর মধ্যেই ৪০টির মতো গরু বিক্রি হয়ে গেছে। শতাধিক গরু বিক্রির অপেক্ষায় আছে।
তবে প্রতিটি খামারেই গরু-মহিষ মোটাতাজাকরণ করতে খরচ বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন খামারিরা। পশুখাদ্য, শ্রমিকের মজুরি সবকিছুই বেড়ে দ্বিগুণ। যার প্রভাব পড়বে কোরবানির পশুর বাজারে।
স্থানীয় এসব খামারের বাইরে প্রতিবছর দেশের উত্তরাঞ্চল থেকেও চট্টগ্রামে প্রচুর গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া আনা হয় পশুর হাটে। তাই বাজারে দাম একটু বেশি হলেও পশুর কোনো সংকট হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২৩
পিডি/টিসি