চট্টগ্রাম: বিশেষ ক্ষমতা আইনে নগরের কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া মামলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১২ জুন) চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আমিনুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট নেজাম উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, কোতোয়ালী থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল।
তিনি আরও বলেন, আদালত শুনানি শেষে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিভিশন দায়ের করা হবে।
মামলার নথি ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানী ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের কাছে বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিব নিহত হয়। এরপর নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছাত্র আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমির খসরুর একটি অডিও কথোপকথন ফাঁস হয়। ওই অডিওতে চলমান ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে দাবি করে ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট নগরের কোতোয়ালী থানায় মামলাটি দায়ের করেন নগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর।
ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে তখনকার ছাত্র আন্দোলনে উস্কানির জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়। ওই মামলায় ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর উচ্চ আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া মামলায় আদালতের নির্দেশে ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমীকেও আসামি করা হয়। ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের একটি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। ব্যারিস্টার নাওমী কুমিল্লার উনাইসা এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পক্ষ থেকে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। বিশেষ ক্ষমতা আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের দিন আসামিদের খালাস দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
এমআই/টিসি