চট্টগ্রাম: সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারের বাসার গৃহসহকারী মনোয়ারা বেগম বাপ্পী প্রকাশ ফাতেমার অসমাপ্ত জেরা সম্পন্ন হয়েছে আদালতে।
সোমবার (১২ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসিম উদ্দিনের আদালতে তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
এর আগে গতকাল রোববার বাবুলের বান্ধবী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই নারীর বাসার গৃহসহকারী পম্পি বড়ুয়া ও মনোয়ারা বেগম বাপ্পী প্রকাশ ফাতেমার অসমাপ্ত সাক্ষ্য নেয় আদাল্ত। উভয়ের সাক্ষ্যে বান্ধবীর সঙ্গে বাবুলের অনৈতিক সম্পর্ক, এ নিয়ে মিতুর সঙ্গে বাবুলের ঝগড়াসহ বিভিন্ন তথ্য উঠে আসে।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুর রশিদ জানান, সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের বাসার গৃহসহকারী মনোয়ারা বেগম বাপ্পী প্রকাশ ফাতেমার সাক্ষ্য সম্পন্ন হয়েছে। আদালত আগামী ২৬ জুন পরবর্তী সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন জানান, পিবিআইয়ের শেখানো মতে সবকিছু ফাতেমা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। ফাতেমা বাড়ির আশেপাশ সম্বন্ধে, তার এলাকার চেয়ারম্যান ও মেম্বারের নাম কিছুই জানেনা বলেছে। এছাড়াও বাড়ি থেকে চট্টগ্রাম আসতে বাস ভাড়া কত এসব জিজ্ঞেস করা হলে কিছুই জানেনা বলেছে ফাতেমা।
মিতু হত্যা মামলায় আসামিরা হলেন- বাবুল আক্তার, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা ও খায়রুল ইসলাম। এ সাত আসামির মধ্যে চারজন কারাবন্দি। ভোলা জামিনে এবং মুছা রয়েছেন নিখোঁজ।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি আসামিদের আদালতে হাজির না করায় অভিযোগ গঠন পিছিয়েছিল। এর আগে ৩১ জানুয়ারি মিতু হত্যায় চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. জেবুন্নেছা বেগমের আদালত বিচার শুরুর নির্দেশনা দিয়ে তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে নথি পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে ২ হাজার ৮৪ পৃষ্ঠার চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এই অভিযোগপত্র গত ১০ অক্টোবর গ্রহণ করেন আদালত। ২০১৬ সালের ৫ জুন নগরের জিইসি মোড় এলাকায় খুন হন মাহমুদা খানম মিতু।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
এমআই/পিডি/টিসি