চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত নতুন প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা সম্প্রতি মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০২৩ খসড়া বিধিমালার ষষ্ঠ অধ্যায়ের ২০ (১) ও ২০ (৪) বিধি সংশোধনের দাবি জানান।
জানা যায়, ওই বিধিমালার ষষ্ঠ অধ্যায়ের ২০ (১) বিধিতে বলা হয়েছে- বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ান বা ভেটেরিনারি কর্মকর্তারা মাছে রোগ নিরাময়ে যেই ওষুধ ব্যবহারে যেভাবে নির্দেশনা দিবেন, সেভাবেই প্রয়োগ করা যাবে এবং খামার মালিকরা এভাবেই মৎস্য আহরণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা সংরক্ষণ করবেন।
অর্থাৎ প্রস্তাবিত নতুন এ প্রজ্ঞাপনে, মৎস্যের রোগ নিরাময় মৎস্যবিদরা নয় শুধু ভেটেরিনারিয়ানরাই করবেন। আর এতে ক্ষুদ্ধ হয় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এরই ধারাবাহিকতায় চবির ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার আদায়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেন।
ফিশারিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ফুয়াদ হাসান বলেন, আমরা চার বছর ফিশারিজ নিয়ে পড়াশোনা করার পরও যদি মাছের চিকিৎসা করতে না পারি তবে আমাদের এ গ্রেজুয়েশনের মূল্য কোথায়?
একই বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আমেনা আক্তার আল্পনা বলেন, যারা ভেটেরিনারি পড়েন তাদের তো মাছের বিষয়ে তেমন পড়ানো হয় না। তাহলে তারা কিভাবে মাছের চিকিৎসা করবেন? আর মৎস্যবিদরা মাছ নিয়ে গ্রেজুয়েশন করার পরও তাদের চিকিৎসা করার অধিকার দেওয়া হয়নি। এমন প্রজ্ঞাপন বাতিল চাই আমরা।
ফররুখ আহমদ আহাদ বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ফিশারিজ কাউন্সিল গঠন করতে হবে এবং মৎস্য ও মৎস্যজাত যেকোন পণ্যের আমদানি বা রুপ্তানির ক্ষেত্রে পন্যের প্রক্সিমেট কম্পোজিশনের সার্টিফিকেট বা অনুমোদন ডিওএফ এবং মৎস্য বিজ্ঞানীরা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৩
এমএ/পিডি/টিসি