চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী হৃদরোগ বিষয়ক সেমিনার। সেমিনারে দেশি-বিদেশি ৮৭ জন ডেলিগেট অংশ নিচ্ছেন।
বুধবার (১৪ জুন) চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সন্দ্বীপন দাশ কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শুক্রবার (১৬ জুন) ও শনিবার (১৭ জুন) অনুষ্ঠিতব্য কনফারেন্সে ২৬টি সেশনে ৫১টি জার্নাল উপস্থাপন করা হবে।
এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, কার্ডিকন কনফারেন্সের আহ্বায়ক প্রবীর কুমার দাশ। তিনি বলেন, হৃদরোগের উচ্চ প্রকোপ ও বিশাল সংখ্যক হৃদরোগীর চিকিৎসা সেবায় চট্টগ্রাম এখনও অনেকটাই পিছিয়ে। বিশেষত সরকারি পর্যায়ে হৃদরোগের চিকিৎসায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগই এখনও সরকারি পর্যায়ের একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র। তার ওপর নির্ভর করে এই অঞ্চলের প্রায় ৪ কোটি জনগোষ্ঠী।
‘তুলনামূলকভাবে রাজধানী ঢাকায় সরকারি পর্যায়ের জাতীয় হৃদরোগ ইনষ্টিটিউট সহ মোট ৭টি বিশেষায়িত হৃদরোগ চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে। বাণিজ্যিক রাজধানী হওয়ার পরও চট্টগ্রামে নেই কোন বিশেষায়িত সরকারি হৃদরোগ হাসপাতাল। তা থাকলে এখানে স্বল্প ব্যয়ে আধুনিক হৃদরোগ সেবা আরো বিকশিত হতো। গরীব ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল হৃদরোগীরা স্বল্পমূল্যে কিংবা বিনামূল্যে স্টেন্ট, পেসমেকার, হার্টের ভাল্ব ও অন্যান্য পরিষেবা গ্রহণে সক্ষম হতো, যা ঢাকাস্থ জাতীয় হৃদরোগ ইন্সষ্টিটিউটে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বরাদ্দ হয়ে থাকে। চট্টগ্রাম অঞ্চলের হতদরিদ্র রোগীরা এ সেবা থেকে বঞ্চিত হয়’।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামে সরকারি পর্যায়ে একমাত্র ক্যাথল্যাব রয়েছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে। এত বিশাল জনগোষ্ঠির চিকিৎসার জন্য তা নিতান্ত অপ্রতুল। তবে ইতিমধ্যে এখানে বেসরকারি পর্যায়ে আরো ৬টি ক্যাথল্যাব স্থাপিত হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম অঞ্চলের হৃদরোগীদের ঢাকা কিংবা বিদেশ গমন কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। আর তা সাধারণ মানুষের চাহিদা পূরণে কোনভাবে যথেষ্ট নয়।
এসময় চট্টগ্রাম আলাদা বিশেষায়িত সরকারি হৃদরোগ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাসহ তিনি ৯টি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ হাইপারটেনশন এবং হার্ট ফেইলিউর ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল হোসেন শাহীনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন চমেক হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও চট্টগ্রাম সোসাইটি অব ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজির সভাপতি ডা. আশিষ দে, সাধারণ সম্পাদক ডা. আনিসুল আউয়াল, ডা. রেজোয়ান রেহান, ডা. বিপ্লব ভট্টাচার্য। উপস্থিত ছিলেন ডা. ইব্রাহিম চৌধুরী, ডা. সালেহ উদ্দিন সিদ্দিকি উজ্জ্বল, ডা. নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীর, ডা. সাগর চৌধুরী, ডা. রাজিব দে, ডা. বিধান রায় প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
এমআর/টিসি