চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনে দক্ষতা উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন এবং ক্যারিয়ার সচেতনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিবেদিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাব (সিইউসিসি) এর 'বার্ষিক সাধারণ সভা ও নবীনবরণ' অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৯ জুন) বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন চবি উপ উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার।
আলোচক হিসেবে ছিলেন পোর্টল্যান্ড গ্রুপের ব্যবস্থপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান মজুমদার এবং চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন্স) সুদীপ্ত সরকার।
তাওহীদা মাহমুদ আরিয়ান ও অর্পন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চবি ক্যারিয়ার ক্লাবের সভাপতি মো. মোস্তাক আল মুজাহিদ জিনিয়াস এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি ক্যারিয়ার ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাফায়েত হোসেন তুষার।
আলোচকের বক্তব্যে মো. মিজানুর রহমান মজুমদার বলেন, সিঙ্গাপুর খুব গরিব একটি দেশ ছিল। সে দেশে কোন খনিজ সম্পদ বা কৃষি সম্পদ নেই। কিন্তু তারা মানবসম্পদকে এমনভাবে কাজে লাগিয়েছে যে, আজ তারা পুরো বিশ্বের ট্রেড-সেন্টারে পরিনত হয়েছে। বাংলাদেশে সবকিছু আছে, শুধু মানবসম্পদ কাজে লাগাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখন সমুদ্রও জয় করেছি। আমাদের নিজেদের বিস্তৃত করার সুযোগ আরও বেড়ে গেছে। আমাদের দেশে ১০০টি ইকোনমিক জোন হচ্ছে। সেজন্য আমাদের তৈরি হতে হবে। কারিগরি শিক্ষা দিতে হবে সকলকে। পাশাপাশি, শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষিত হতে হবে।
সুদীপ্ত সরকার তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে আমরা সবাই বিসিএস ক্যাডার হতে চাই। কিন্তু এর বাহিরে আমরা ওভাবে গবেষক, শিক্ষক হতে চাই না। আমি বলব, আপনারা সবাই স্বপ্নদ্রষ্টা হোন। আপনার মন যা চাইবে সেটাকে কেন্দ্র করে লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।
তিনি আরও বলেন, সবসময় ক্যারিয়ারের পিছনে ছুটবেন না, তাহলে উল্টো পিছিয়ে পড়তে পারেন। বরং নিজেকে সবকিছুর জন্য প্রস্তুত করে তৈরি করবেন। মনে রাখবেন, আপনি ক্যারিয়ার বিল্ডার হবেন, কামলা হবেন না। ক্যারিয়ার গড়তে গিয়ে স্বপ্নকে বিসর্জন দিবেন না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, আমার যে সাতাশ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি যুদ্ধের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেছে, তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে আমি ভাবি। আমি ভাবি, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে কোথায় যাবে, কী করবে। আমার সে ভাবনাকে মুক্তি দিতে তাদের নিজেদরকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়। আপনাদের আগ্রহ, শখ এবং স্বপ্নকে বাস্তবায়নের সর্বোচ্চ সুযোগ রয়েছে। আমরা চাইবো, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর যেসকল আয়োজন হয়, ক্যারিয়ার ক্লাবও সেখানে থাকবে। শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার সচেতন করবে। তাছাড়া যেখানেই যাও না কেন প্রত্যেকে মানুষের মতো মানুষ হতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৩
এমএ/পিডি/টিসি