ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৬০ টাকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৩
পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৬০ টাকা ...

চট্টগ্রাম: চাকতাই-খাতুনগঞ্জে মাত্র ২০ দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৬০ টাকা। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির পর কমেছে দাম।

শুক্রবার (২৩ জুন) সকালে নগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ওজন স্কেলের কারণে চট্টগ্রামে ১৩ টন থেকে সাড়ে ১৩ টনের বেশি পণ্য আনা নেওয়া যায় না।

এ কারণে পণ্যের দাম বাড়াতে হয়। তারপরেও আমরা যতটুকু সম্ভব ছাড় দিয়ে পণ্য বিক্রি করি। বর্তমান পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, গত ৪ জুন পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হলেও শুক্রবার (২৩ জুন) কেজি প্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা থেকে ৩১ টাকায়। বর্তমানে খুচরায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

গত ৪ জুন পর্যন্ত খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৯০ থেকে ৯২ টাকায়। যা খুচরায় কেজি প্রতি ১০০ টাকার বেশিতে বেক্রি হয়। ওই দিনই কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে ৫ জুন থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার কথা জানানো হয়। ৬ জুন রাত থেকে আমদানির ভারতীয় পেঁয়াজ চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে আসতে থাকে। ৭ জুন থেকে বিক্রি হয় ভারতীয় পেঁয়াজ। ওইদিন ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হয় প্রতি কেজি পেঁয়াজ। বর্তমানে পেঁয়াজ প্রতিকেজি ২৮ টাকা থেকে ৩১ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। সে হিসাবে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৬০ টাকা থেকে ৬২ টাকা।  

নগরের কাজীর দেউড়ি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চকবাজার কাঁচা বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আব্দুল মালেক বাংলানিউজকে বলেন, কিছুদিন আগেও পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে ৬০ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে আসায় সে পেঁয়াজ কিনছি ৩৫ টাকায়।

চাকতাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম বলেন, শুক্রবার খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা থেকে ৩২ টাকা পর্যন্ত। কিছু পেঁয়াজ ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকায়ও বিক্রি করা হচ্ছে। পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত যানবাহনের ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম এর থেকে আর কমানো যাচ্ছে না।

এদিকে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাড়ছে মসলা জাতীয় পণ্যের দাম। আগেই বেড়ে যাওয়া জিরা, লবঙ্গের সাথে নতুন করে বেড়েছে শুকনো মরিচ, হলুদ, দারুচিনি এবং চায়না আদার দাম।  

খাতুনগঞ্জে মরিচের দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে ১৬০ টাকা, দারুচিনি ১২০ টাকা বেড়ে ৩৫০ টাকা ও চায়না আদা ১০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর আগে এক মাস আগেই জিরার দাম কেজিতে বেড়েছে ১০০ থেকে ১৬০ টাকা এবং লবঙ্গের দাম ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে প্রতি কেজিতে। দারুচিনি, তেজপাতা ও ধনিয়ার দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৩ 
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।