চট্টগ্রাম: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন, নির্বাচনে জনগণের রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ বার বার ক্ষমতায় এসেছে। কোনো আন্দোলনের ফলে আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতাচ্যুত হয়নি।
শনিবার (৮ জুলাই) দুপুরে লালখান বাজারে চট্টগ্রাম-১০ নির্বাচনী আসনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আওতাধীন ১০টি ওয়ার্ড ও ইউনিট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নগর আওয়ামী লীগের যে সাংগঠনিক শক্তি তা কার্যকর করলে অনেক ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাবে জানিয়ে সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, সবাই যদি মনে করি, সে তো হয়ে যাবে। তাহলে হবে না। সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। শুধু কেন্দ্রে জটলা পাকালে হবে না। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনতে হবে। মেয়র রেজাউল করিমের ভোট, নোমানের ভোট দেখেছি। মেয়রের ভোটের দিন ৫০ কেন্দ্রে গেছি৷ হাজার হাজার ছেলে কিন্তু ভোটারদের আনছে না। উৎসব করছে, ভোটের আগেই। নগর আওয়ামী লীগ মাহতাব ও নাছিরের নেতৃত্বে অনেক শক্তিশালী৷ যদি ৫০ শতাংশ ভোট কাস্ট করতে পারেন, সেটা অনেক ইতিবাচক হবে। আশা করি সবাই একজোট হয়ে নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য কাজ করবে।
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ। দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। মহিউদ্দিন বাচ্চু কে সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। নৌকা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। সেই নৌকা নিয়ে পথে নেমেছি। বিএনপি বলেছে তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া ভোট করতে দেবে না। তাদের মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাকুন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভোট হবে। সবাই প্রস্তুত হন। নেতাকর্মী আর জনগণ সঙ্গে থাকলে কোনো শক্তি আমাদের মাথা নোয়াতে পারবে না।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বিগত দিনে যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে যেভাবে ভোটার উপস্থিত করার দরকার ছিল, তা পারিনি। এটা ভোটারদের ব্যর্থতা নয়, এটা আমাদের ব্যর্থতা। কেন্দ্র কমিটি করা হয়েছিল নোমান আল মাহমুদের ভোটের সময়। যত জন কমিটিতে ছিল ততজন কেন্দ্রে ছিল না। দায়িত্ব নিয়ে এটা প্রতারণার শামিল। ওয়ার্ড ও ইউনিটের দায়িত্ব মূলত। বিগত দিনের ভুলের যেন পুনরাবৃত্তি না হয়। আমাদের প্রার্থী বিজয়ী হবে, এটা বাস্তবতা। কিন্তু ভোটার উপস্থিতি যদি কম হয় তাহলে সেটার সমালোচনা হবে।
তিনি বলেন, কেন্দ্র নয়, যে বুথে যারা ভোটার সেখানে দলের সব নেতাকর্মীকে বাছাই করবেন। তাদের নিয়ে বুথ কমিটি বাছাই করবেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যত উন্নয়ন করেছেন, বাংলাদেশের এমন কোনো মানুষ নেই যার সুফল পায়নি। চট্টগ্রাম-১০ আসনে লক্ষাধিক মানুষ আছেন, যারা সরাসরি সুফল পেয়েছেন।
নগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, প্রান্তিক স্তরে যেসব মানুষ সরকারের উপকারভোগী রয়েছেন তাদের দলে টানতে পারলে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত এবং তারাই আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস। তাদের প্রতি শতভাগ ভরসা ও বিশ্বাস আওয়ামী লীগের আছে।
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, এই আসনের তিন বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও নগর আওয়ামী লীগের সদ্য প্রয়াত সহ সভাপতি ডা. আফছারুল আমীন একজন জননন্দিত নেতা ছিলেন। জনগণের জন্য দায়বদ্ধতা থেকে এলাকার উন্নয়ন ও কল্যাণ সাধনে নিবেদিত ছিলেন। আমি আল্লাহর রহমতে নির্বাচিত হলে প্রয়াত জননেতা ডা. আফছারুল আমীনের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে সচেষ্ট থাকবো।
চট্টগ্রাম-১০ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক, নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ও চট্টগ্রাম-১০ নির্বাচনী আসনের প্রচার ও দপ্তর বিভাগের সমন্বয়ক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলার সহ সভাপতি এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, নগর আওয়ামী লীগের বদিউল আলম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের দেবাশীষ পালিত, জসীম উদ্দীন শাহ ও নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২৩
এমআই/টিসি