চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম লুৎফল আহসান বলেছেন, খাবারের মাধ্যমে কীভাবে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে নজর দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী চিন্তাকে কাজে লাগাতে হবে।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইয়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত নতুন খাদ্য পণ্য উদ্ভাবন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, সবদিকে দেশ যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে খাদ্য বিজ্ঞানে কেন আমরা পিছিয়ে থাকবো। গবেষণার মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে শিক্ষার্থীই গর্বিত অংশীদার। তাই তোমাদের গবেষণা কার্যক্রমে জোর দিতে হবে। খাদ্যের মাধ্যমে কীভাবে মানবদেহে সৃষ্ট রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায় সে বিষয়েও গবেষণা করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য প্রক্রিয়া ও প্রযুক্তি বিভাগের সভাপতি ড. মো. কাউছার-উল-আলমের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন খাদ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ আলী বিশ্বাস, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. কামাল, মাৎস বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এম নূরুল আবছার খান, ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, খাদ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শিরীন আক্তার, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর নাজমুল সরওয়ার, মাসুদ এ্যাগ্রো প্রসেসিং ফুড ফুডাক্টের সহকারী ব্যবস্থাপক এবিএম শামসুল করিম প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে ড. মো. কাউছার-উল-আলম বলেন, দেশে খাদ্য সংরক্ষণের অভাবে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ কৃষি কাঁচামাল অপচয় হচ্ছে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণের মাধ্যমে এ অপচয় রোধ করা যায়। এমনকি কৃষিজ উপজাত ও খাদ্য বর্জ্যকেও গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য পণ্যে রূপান্তর করা যায়। কৃষিজাত শিল্পের প্রসার ঘটিয়ে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন সাধন করতে হবে। ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইয়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় সে লক্ষ্যেই কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৩
বিই/টিসি