ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাণিজ্যিক মোটরযানের ইকোনমিক লাইফ পুনঃনির্ধারণের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২৩
বাণিজ্যিক মোটরযানের ইকোনমিক লাইফ পুনঃনির্ধারণের দাবি ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: বাণিজ্যিক মোটরযানের ইকোনমিক লাইফ পুনঃনির্ধারণের দাবি জানিয়েছে বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ফেডারেশন।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের তারা এ দাবি জানান।

এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ফেডারেশনের সদন্য সচিব মনজুরুল আলম চৌধুরী (মঞ্জু)।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো উন্নয়নের যে কয়েকটি খাত রয়েছে তার মধ্যে পণ্য ও গণপরিবহন খাত অন্যতম।

এই খাতে জড়িত মালিকেরা লাভ লোকসানের হিসাব ব্যতিরেকে সরকারকে অগ্রিম ট্যাক্স দিয়ে পরিবহন ব্যবসা পরিচালনা করেন।

সরকারবিরোধী বিভিন্ন জ্বালাও পোড়াও আন্দোলন, করোনা মহামারি, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া মন্দাভাবের সময় দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে পণ্য ও গণ পরিবহনের মালিক শ্রমিকেরা মৃত্যুকে পরোয়া করেননি। কিন্তু দূঃখের বিষয় বিগত বছর গুলোতে জ্বালানি তেলের মূল্য, গাড়ীতে ব্যবহৃত সকল প্রকার খুচরা যন্ত্রাংশের মূল্য এবং যানবাহনে ব্যবহত ডকুমেন্টে সকল প্রকার রেভিনিউ যেভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে।  মাস শেষে তা পরিশোধ করে একজন পরিবহণ মালিকের অবশিষ্ট বলতে আর কিছুই থাকে না।

তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সালের ১৭ মে  সরকার বাস মিনিবাসের ক্ষেত্রে ২০ বছর এবং ট্রাক কভার্ডভ্যানের ক্ষেত্রে ২৫ বছর ইকোনমিক লাইফ নির্ধারণ করে দেওয়া মানে যানবাহন মালিকদের মরার উপর খড়ার ঘা। কারণ বর্তমানে একজন পরিবহন মালিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে যেভাবে ভাড়া হওয়ার কথা সেভাবে ভাড়া হচ্ছেনা। একজন গাড়ির মালিক-চালক-সহকারীর বেতন ভাতা পরিশোধ করা দুরের কথা নিজেরাই অর্ধাহারে অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

সরকারের সদ্য জারি করা যানবাহনের ইকোনমিক লাইফ প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়ন করলে দেশে প্রায় ৬৫ হাজার বাস মিনিবাস, ট্রাক, কভার্ডভ্যান বন্ধ হয়ে যাবে। এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় লক্ষাধিক মালিক-শ্রমিক মানবেতর জীবন যাপন করবে।  

সরকারের আমদানি নীতি অনুযায়ী গাড়ির ইঞ্জিন ও যন্ত্রাংশ আমদানি হয় বিধায় কোনো যানবাহনই অচল থাকে না বরং ক্ষতিগ্রস্ত ইঞ্জিন বা ইঞ্জিনের পার্টস, বডি বা আনুসাঙ্গিক অন্যান্য পার্টস নতুন করে রিপ্লেসমেন্ট করলে সকল যানবানই সম্পূর্ণ রূপে বিআরটিএ এর ফিটনেস সার্টিফিকেট অনুযায়ী চলাচলের যোগ্যতা রাখে। একসঙ্গে গণ ও পণ্য পরিবহনে চালিত যানবাহন বাতিল করা হলে দেশে একপ্রকার গাড়ীর সংকট হবে এবং যেহেতু আগামী ৬ মাস পর জাতীয় নির্বাচন ও বর্তমানে অর্থনৈতিক মন্দাভাব বিরাজ করছে। তাই এ মূহুর্তে এই ধরনের আইন প্রয়োগ করে সরকারের উজ্জল ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ফেডারেশনের দাবি:

গাড়ির আয়ুস্কাল এর নীতিমালা প্রণয়নে বিভাগীয় পর্যায় থেকে মালিক প্রতিনিধির ক্র্যাপ নীতিতে সম্পৃক্ত করা। ২০২৪-২০২৫ আর্থিক সাল থেকে ক্র্যাপ নীতি পুণঃ সংশোধন করে কার্যকর করা। বিআরটিএ কর্তৃক রেজিষ্ট্রেশন তারিখ থেকে মেয়াদ নির্ধারণ। বিআরটিএ সার্ভার সচল করে ডকুমেন্টের হাল নাগাদ নবায়নের সুযোগ দেওয়া।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ফেডারেশনের আহ্বায়ক জহুর আহাম্মদসহ বিভিন্ন পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২৩ 
বিই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।