চট্টগ্রাম: নগরের কাজীর দেউড়ির নাসিমন ভবনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ২০০ থেকে ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুলাই) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলাটি করেন ভবনের কেয়ারটেকার কাজী মাহমুদ হোসেন।
মামলার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, বিএনপির অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় আদালতে মামলার আবেদন করা হয়।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে নুরুল আজিম রনি ও মনোয়ারুল ইসলাম নোভেলসহ অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ২৫০ জন হাতে থাকা লাঠিসোটা, লোহার, মারাত্মক অস্ত্র-সস্ত্রে নিয়ে বিএনপির পার্টি অফিসের গেইট ভাঙচুর করে। পরে সেখানে ঢুকে চেয়ার, টেবিল, আসবাবপত্র, দরজা ও জানালার কাঁচের গ্লাস ভাঙচুর করে আনুমানিক ৮০ হাজার টাকার জিনিসপত্র ক্ষতি করে। তাছাড়া পার্টি অফিসে সংরক্ষিত এক লাখ টাকা মূল্যের একটি ল্যাপটব লুট করে এবং ওমর ফারুক রুবেলসহ অনেককে মারধর করে।
এ সময় তারা অফিসের পোস্টার, ব্যানার ছিড়ে অফিসের সামনে অগ্নি সংযোগ এবং কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করর আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে পার্টি অফিসের সামনে মূল সড়ক অবরোধ করে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে কুরুচিপূর্ণ শ্লোগান দিয়ে কিছুক্ষণ পর স্থান ত্যাগ করে। পরে রাত সাড়ে সাতটার দিকে খবর পেয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা মাহবুর রহমান শামীম, মহানগরের আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হোসেন বক্করসহ নেতাকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় পরদিন (২০ জুলাই) বিকেলে কেয়ারটেকার কাজী মাহমুদ হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় গেলে ওসি অসুস্থ জানিয়ে ওসি তদন্ত মামলা গ্রহণ করেনি বলেও এজহারে বলায় হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুলাই বিএনপি পদযাত্রা শেষে ফেরার পথে বিএনপির একদল নেতাকর্মী নগরীর লালখান বাজার চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা করে। পরে নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা ও পুলিশের গাড়িতে হামলার ঘটনায় নগরের খুলশী থানায় দুইটি মামলা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৩
এমআই/পিডি/টিসি