চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৬ প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া বাকি ৫ প্রার্থীর জামানত বাতিল হবে।
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, সাধারণত যেকোনো নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ বা ১২ শতাংশ ভোট প্রার্থীরা না পেলে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়।
কিন্তু চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ৫৭ হাজার ১৫৩ টি। যা শতাংশের হিসেবে মাত্র ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ।
নির্বাচন কমিশনের বেসরকারি ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৫৬ ভোট কেন্দ্রের মধ্যে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মো. সামসুল আলম পেয়েছেন ১ হাজার ৫৭২ ভোট। শতাংশের হিসেবে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এছাড়া তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত (সোনালী আঁশ) পেয়েছে ১ হাজার ২৩০ ভোট। যা শতাংশের হিসেবে ২ দশমিক ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া (ছড়ি) পেয়েছেন ৫৭৯ ভোট, শতাংশের হিসেবে ১ দশমিক ০১ শতাংশ। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী (বেলুন) পেয়েছেন ৪৮০ ভোট। যা শতাংশের হিসেবে দশমিক ৮৩ শতাংশ। মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া (রকেট) পেয়েছেন ৩৬৯ ভোট। শতাংশের হিসেবে দশমিক ৬৪ শতাংশ।
প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, আইন অনুযায়ী যারা মোট প্রদত্ত ভোটের ১২ শতাংশের কম ভোট পেয়েছেন তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হতে পারে। আমরা সব কাগজপত্র নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে পাঠাবো। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে কাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪০ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২৩
এমআর/পিডি/টিসি