চট্টগ্রাম: শব্দসৈনিক ও রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী অজিত রায় স্মরণে 'তুমি আমার অহংকার' শিরোনামের আয়োজনে সুর, ছন্দ ও কথামালায় শিল্পীকে স্মরণ করা হয়েছে।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় এ স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করে অভ্যুদয় সংগীত অঙ্গন।
এরপর মঞ্চে কোরাস গান নিয়ে হাজির হয় অভ্যুদয়ের শিশুশিল্পীরা।
কবিতা থেকে গান পর্বের পর অতিথি গোলাম কুদ্দুস ও জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের সহসভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌস আরা আলীমকে ফুল ও উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করা হয়। পরে সদ্য প্রয়াত সংস্কৃতিকর্মী আলাউদ্দিন খোকনের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। স্মৃতিচারণ পর্ব সঞ্চালনা করেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য।
অজিত রায়কে স্মরণ করতে গিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস বলেন, ১২ বছর আগে বারডেম হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন অজিত রায়। খবরটা পেয়ে আমরা ছুটে গিয়েছিলাম সেখানে। মৃত্যুর সংবাদটি পেয়ে মুহূর্তেই হাজির হয়েছিলাম। তাঁকে অসংখ্য মানুষ ভালোবাসতেন। অসংখ্য মানুষ মৃত্যুর পর হৃদয়ের অর্ঘ্য নিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে সমবেত হয়েছিলেন।
অজিত রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অধ্যাপক ফেরদৌস আরা আলীম বলেন, অজিত রায় ছিলেন একজন নির্ভীক সুরসৈনিক। স্বাধীনতার আগে একসময় রবীন্দ্রসংগীত চর্চা নিষিদ্ধ ছিল। সে সময়ও তিনি নির্ভয়ে বিভিন্ন জায়গায় গান করেছেন। সংগীতই ছিল তাঁর ধ্যান-জ্ঞান।
অনুষ্ঠানের স্মৃতিচারণ ও কথামালা পর্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শৈবাল বড়ুয়া। সভাপতিত্ব করেন প্রদ্যোৎ মজুমদার। স্মৃতিচারণ ও কথামালার পর আবার বসে গানের মেলা। গানে গানে শ্রদ্ধা জানানো হয় অজিত রায়কে।
দ্বিতীয় পর্বে অজিত রায়ের সুর করা গানে উঠে আসে জীবনানন্দ দাশ, সুকান্ত ভট্টাচার্য, মাইকেল মধুসূদন, কাজী নজরুল ইসলামের বাণী। দলীয় কণ্ঠে গীত হয় ‘ বাংলার মুখ’, ‘কপোতাক্ষ নদ’, ‘প্রিয়তমাসু’, ‘বলো বীর’। দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনায় ছিল যত্নের ছাপ। দর্শকেরাও প্রাণভরে উপভোগ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩
এআর/টিসি