চট্টগ্রাম: নগরীতে মোট সড়কের পরিমাণ প্রায় ৬০০ কিলোমিটার। নগরের অভ্যন্তরে দিনে মালবাহী যানবাহন চলাচল এবং অবৈধ পার্কিংয়ের ফলে যানজট সৃষ্টির পাশাপাশি জনসাধারণের স্বাভাবিক চলাচল বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
রাস্তার ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যানবাহন (যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক) চলাচলের ফলে সড়কে গাড়ির চাপ বেড়েছে। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
চুয়েটের এক গবেষণায় দেখা যায়, বহদ্দারহাট থেকে বারিক বিল্ডিং মোড়ের দূরত্ব ৭ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার। শহর এলাকায় যানবাহনের স্বাভাবিক গতি (ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার) অনুযায়ী, এ পথ পাড়ি দিতে সর্বোচ্চ ১২ মিনিট লাগার কথা। কিন্তু লাগছে কমপক্ষে ২৭ মিনিট। স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ সময় লাগার কারণ যানজট। যানজটের কারণে শহরে গাড়ির গতি কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৭৫ কিলোমিটারে।
আগ্রাবাদ শেখ মুজিব সড়কটির উভয় পাশে বাণিজ্যিক স্থাপনাগুলোর অধিকাংশেরই নিজস্ব পার্কিং না থাকায় সড়কই ব্যবহার হচ্ছে পার্কিং স্পট হিসেবে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পণ্য সড়কের ওপর রাখায় এবং মোটর পার্টস ও গ্যারেজ মালিকরা সড়কের পাশে যানবাহন রেখে কাজ করায় নিত্য যানজট লেগেই থাকে।
জিইসি মোড় থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত সিডিএ এভিনিউ সড়কের উভয় পাশে গাড়ির শো-রুম ও গাড়ির যন্ত্রাংশ বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কারণে চার লেনের এ সড়কের অধিকাংশই বেদখল হয়ে পড়েছে। এ কারণে স্বল্প দূরত্বের পথ পেরোতেও দীর্ঘ সময় লাগছে। আরাকান সড়কের অনেকাংশে অবৈধ গাড়ির পার্কিং যান চলাচল বিঘ্নিত করছে। সেই সঙ্গে নষ্ট হচ্ছে সড়কের মানও।
শহরের আরো একটি বড় সমস্যা বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনের পার্কিং সুবিধা না থাকা। শতাধিক বড় শপিং মলের অধিকাংশের নিজস্ব পার্কিং সুবিধা নেই। পার্কিংয়ের স্থলে দোকান করে রাখায় শপিং মল বা বাণিজ্যিক স্থাপনাগুলোয় আসা যানবাহন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সড়কে অবস্থান করে।
চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার পণ্যবাহী ভারী যানবাহন চলাচল করলেও পর্যাপ্ত ট্রাক টার্মিনাল নেই। এ কারণে চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি সড়ক ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের দখলে থাকে। সমন্বিত ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া চট্টগ্রামের সড়ক ব্যবস্থাপনা সুশৃঙ্খল হবে না বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩
এসএস/এসি/টিসি