চট্টগ্রাম: প্রায় ২৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে চট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স। এরই মধ্যে প্রকল্পটির প্রায় ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে গণপূর্ত অধিদফতর।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সটি চালু হলে ৪৫টি নতুন কর্মক্ষেত্র সৃজন করা হবে।
২০১৭ সালের নভেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। এর আগে ২০১৫ সালের মার্চে গণপূর্ত অধিদপ্তর ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মুসলিম হল সংস্কারের লক্ষ্যে নকশা প্রণয়ন কাজ শুরু হয়। ২০১৬ সালের আগস্টে নকশা চূড়ান্ত হয়। একনেকে প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে করোনা মহামারি ও আর্থিক সংকটে দুই দফা মেয়াদ বাড়ানো হয় প্রকল্পটির। সব ঠিক থাকলে ২০২৪ এর জুন মাসে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে।
প্রকল্পের আওতায় ১৫২১২.২৮ বর্গফুট জায়গায় ১৫ তলা বিশিষ্ট ১টি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগার, ১৪৪৯৩.২২ বর্গফুট আয়তনের ১টি মাল্টিপারপাস হল ও সেমিনার হলের পাশাপাশি ৭৪১৩.৬০ বর্গফুট আয়তনের জনসমাগম স্থান তৈরি করা হচ্ছে। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পুনঃসংস্কার কাজ। মূল সড়কের দুই পাশে যাতায়াতে তৈরি হয়েছে টানেল।
গণগ্রন্থাগার ভবনের নিচতলায় থাকছে সার্ভিস সেকশন, যেখানে বই বাছাই, ফিউমিগেশন হবে। গ্রাউন্ড ও প্রথম ফ্লোরে থাকছে অফিস, ২য় ফ্লোরে সেমিনার ও মিটিং রুম, প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে তৃতীয় ফ্লোর। চতুর্থ ও পঞ্চম ফ্লোরে জেনারেল লাইব্রেরি, ষষ্ঠ ফ্লোরে চিলড্রেন লাইব্রেরি, সপ্তম ফ্লোরে পেপার লাইব্রেরি, অষ্টম ফ্লোরে রেফারেন্স লাইব্রেরি, নবম ও দশম ফ্লোরে সায়েন্স লাইব্রেরি, ১১তম ফ্লোরে ট্রেনিং ইউনিট, ১২তম ফ্লোরে আইসিটি ইউনিট, ১৩তম ফ্লোরে স্পেস ফর ফিউচার প্রোভিশন, ১৪তম ফ্লোরে গেস্ট হাউজ নির্মাণ করা হচ্ছে।
গ্রন্থাগার অংশে সাধারণ পাঠাগারে ২৫০ জন, বিজ্ঞান পাঠাগারে ১৫০ জন, রেফারেন্স পাঠাগারে ১০০ জন, পত্রিকা/সাময়িকী পাঠাগারে ১০০ জন, প্রতিবন্ধী পাঠাগারে ৫০ জন, উন্মুক্ত পাঠাগারে ১৫০জন, শিশু-কিশোর পাঠাগারে ১০০ জন পাঠক একসঙ্গে বসে বই পড়তে পারবেন।
এছাড়া ৪০ থেকে ৫০ আসন বিশিষ্ট সভাকক্ষ ও সেমিনার কক্ষ, ১৫০ আসন বিশিষ্ট একটি বড় সেমিনার কক্ষ নির্মাণ হবে। আইসিটি লাইব্রেরিতে থাকবে ৩০টি কম্পিউটার। থাকবে ১টি রেস্ট হাউজ, ২টি ভিআইপি কক্ষ ও সাধারণ ডরমেটরি কক্ষ।
প্রকল্প পরিচালক গণপূর্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রাম-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ বাংলানিউজকে বলেন, লাইব্রেরির কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। ভৌত অবকাঠামোগত কাজ শেষ৷ আর যেসব কাজ বাকি রয়েছে তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা যাবে। অডিটোরিয়ামগুলোর সাজসজ্জা ও সরঞ্জাম বসানোর কাজ বাকি আছে। যেহেতু অডিটোরিয়ামগুলোর সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আনা হবে, তাই একটু সময় লাগছে।
এ বছর ১৬ ডিসেম্বরের আগে শহীদ মিনার খুলে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
এমআর/এসি/টিসি