চট্টগ্রাম: উদ্বোধনের অপেক্ষায় দেশের একমাত্র কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। সব ঠিক থাকলে ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে এ টানেল।
টানেলের সম্ভাব্যতা সমীক্ষার তথ্যানুযায়ী, টানেল চালু হওয়ার পর ২০২৫ সালে গড়ে প্রতিদিন ২৮ হাজার ৩০৫টি যানবাহন চলাচল করবে। এ ছাড়া ২০৩০ সালে যানবাহন চলাচলের প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৯৪৬টি। তাছাড়াও ১ লাখ ৬২ হাজার যানবাহন চলাচলের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০৬৭ সালে।
টানেল চালু হলে কর্ণফুলী নদী পাড়ি দিতে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট সময় লাগার কথা। পতেঙ্গার নেভাল একাডেমি প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে টানেলটি নদীর তলদেশ দিয়ে চলে গেছে আনোয়ারার চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানা এবং কর্ণফুলী সার কারখানার মাঝামাঝি জায়গায়।
চীনের সাংহাই শহরের আদলে ওয়ান সিটি টু টাউন প্রকল্পটির খরচ ও মেয়াদ দুটিই বেড়েছে দুই দফা। সংশোধিত প্রকল্প অনুযায়ী ব্যয় বাড়ানোর পর এই প্রকল্পে এখন খরচ দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। চীনের এক্সিম ব্যাংক ২ শতাংশ হারে সুদে ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা ঋণ দেয়। বাকি অর্থ দেয় বাংলাদেশ সরকার।
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এ টানেলের নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চীনের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় নির্মিত মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। তবে সংযোগ সড়কসহ টানেলের সর্বমোট দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার। প্রকল্পটির ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের প্রকল্প পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, টানেলের মূল কাজ শেষ। ভেতরে শেষ মুহূর্তের সিভিল, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক ও সাজসজ্জার কাজও শেষ। কয়েকবার ট্রায়াল রানও করা হয়েছে। আগামী ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী টানেল উদ্বোধন করবেন। পরের দিন থেকেই যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, সমীক্ষা অনুযায়ী ২০২৫ সালে গড়ে প্রতিদিন ২৮ হাজার ৩০৫টি যানবাহন চলাচল করবে। যেহেতু যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে, তাই সমীক্ষার চেয়ে কয়েকগুণ বাড়তে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২৩
এমআর/এসি/টিসি