চট্টগ্রাম: দশ বছরেরও বেশি সময় বিভিন্ন রুটে পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেন চালিয়েছেন। এবার প্রথমবারের মতো পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ট্রেন নিয়ে যাত্রা করেছেন মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান।
ঝিকঝিক করে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে পর্যটন নগরীর পথে ছুটল প্রথম ট্রেন। দোহাজারী-কক্সবাজার নতুন রেলপথের সবকিছু ঠিক আছে কিনা সেটি যাচাই করতেই রোববার (৫ নভেম্বর) এই পরিদর্শন ট্রেন চালানো হচ্ছে। আর সেই ট্রেনটি চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মাহফুজুর রহমান।
দোহাজারি-কক্সবাজার রেল প্রকল্পের বিভিন্ন স্থানে ট্রেন থামিয়ে রেললাইনসহ ইন্টারলকিং সিগন্যালিং ব্যবস্থা, প্লার্টফর্ম উঁচু কি-না, কালভার্ট, লেভেল ক্রসিং গেট সবকিছুর সঠিকতা যাচাই করছেন পরিদর্শন টিম। ট্রেনের হুইসেল শুনে রেললাইনের পাশে জড়ো হয়েছেন সব বয়সের মানুষ। চলতি পথে সড়কের দুই দিকে দাঁড়িয়ে উচ্ছ্বাসিত মানুষ হাত নেড়ে জানাচ্ছেন অভিবাদন।
ময়মনসিংহের সন্তান মাহফুজুর রহমানের বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরেই। তিনি রেলওয়ের সঙ্গে যুক্ত আছেন এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। তবে লোকোমাস্টার হিসেবে ট্রেন চালাচ্ছেন ২০১৪ সাল থেকে। এর আগে সহকারী লোকোমাস্টার ও সাব লোকোমাস্টার ছিলেন। কিছুদিন আগে আখাউড়া থেকে আগরতলায় যে ট্রেন গেছে সেটির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি।
মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ট্রেন চালাতে গিয়ে ছোট-বড় অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। তবে, এবার পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যাচ্ছি। এটিও আমার কাছে অনেক বড় অভিজ্ঞতার বিষয়। যা সারাজীবনের সঞ্চয় হয়ে থাকবে। এর আগে আখাউড়া-আগরতলা ট্রেন নিয়ে গেছি।
মাহফুজুর রহমানকে সহযোগিতা করছেন সহকারী লোকোমাস্টার রুখন মিয়া। ২০১৭ সালে রেলওয়েতে যোগ দিয়েছেন তিনি। তারও রয়েছে অনেক অভিজ্ঞতার গল্প। তিনি বলেন, ‘বহু ট্রেনেই কাজ করেছি। তবে এবার এমন একটা গন্তব্যে যাচ্ছি, যেখানে সবাই বছরে একবার হলেও যেতে চান। আর সেই কক্সবাজারে প্রথম ট্রেন নিয়ে যাওয়ার পেছনে আমারও অবদান আছে, এটা আমার জন্য গর্বের’।
এর আগে শনিবার ৯২ বছরের পুরোনো কালুরঘাট সেতুতে ২২০০, ২৯০০ ও ৩০০০ সিরিজের তিনটি ইঞ্জিনের ট্রায়াল সম্পন্ন করে রেলের প্রকৌশল বিভাগ। এ ট্রায়াল রানও করেছেন মাহফুজুর রহমান।
ট্রেনে একাধিক গার্ড, রেলওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য (আরএনবি), রেল ট্র্যাক সংক্রান্ত রেলকর্মী, প্রকৌশল, বাণিজ্যিক ও পরিবহন বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২৩
বিই/এসি/টিসি