চট্টগ্রাম: আড়তে পাইকারিতে প্রতিটি ডিম বিক্রি হয়েছে ৯ টাকা। সেই ডিম বিভিন্ন বাজার, অলিগলির মুদির দোকানে সাড়ে ১১ টাকা থেকে ১৪ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
বুধবার (৮ নভেম্বর) সরেজমিন এমন চিত্র দেখা গেছে।
নগরের কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারে দুইটি ডিমের দোকানে সন্ধ্যায় প্রতি ডজন মুরগির (বাদামি) ডিম বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা।
তারা বলছেন, আমদানি করা ভারতের ডিম স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ঢুকছে এমন খবরে ডিমের দাম কমছে।
তবে চট্টগ্রাম ডিম ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুস শুক্কুর বাংলানিউজকে বলেন, ডিমের চাহিদা কমছে। আগে চট্টগ্রাম শহরে ডিম বিক্রি হতো ২০-২৫ লাখ পিস। এখন তা ১৫ লাখে ঠেকেছে। আমরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকা ছাড়াও জেলায়ও ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে থাকি।
কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, বছরের শেষ দিকে এসে সব স্কুলে পরীক্ষার মৌসুম চলছে। বাচ্চাদের টিফিন দিতে হয় না এ সময়। তাই ডিমের চাহিদা কমছে। আবার এখন শীতকাল হওয়ায় শাকসবজির সরবরাহ বাড়ছে। এটিও ডিমের চাহিদা কমে যাওয়ার কারণ। কক্সবাজার লাইনের কিছু খামারির ডিমও চট্টগ্রাম শহরে বাজারজাত হচ্ছে।
আড়তের দামের সঙ্গে খুচরার পার্থক্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আজ প্রতিটি ডিম পাইকারিতে বিক্রি করেছি ৯ টাকা। গতকাল বিক্রি করেছি ৯ টাকা ৪০ পয়সা। তার আগের দিন ছিল ৯ টাকা ৭০ পয়সা। আড়তে ডিম বিক্রি হয় ‘খামাল কাটা’। যেখানে ছোট বড়, ভাঙা বা ফাটা, টেপ খাওয়া ডিমও থাকে। পরিবহনের সময়ও কিছু ডিম ভেঙে নষ্ট হয়। তারপরও খুচরায় ডজন ১৪০ টাকা বিক্রি করা মানে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি