চট্টগ্রাম: ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি (ইউটিএস) বাংলাদেশের ডিপ্লোমা অব ইনফরমেশন টেকনোলজি এবং ডিপ্লোমা অব বিজনেস প্রোগ্রামের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির দামপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, আমরা ছাত্রদের কৃতিত্ব উদযাপন করছি।
কার্ল রোডস বলেন, ইউটিএস-এর বিজনেস স্কুলটি শিল্পের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। আমাদের ছাত্রদের ৮০% শীর্ষ কোম্পানিগুলির সঙ্গে ইন্টার্নশিপ করে। আমরা সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনকে মূল্য দিই, সক্রিয় সমস্যা সমাধান করি।
সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন সমাজবিজ্ঞানী একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. অনুপম সেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউটিএস ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট রিক্রুটমেন্ট হেড মি. পিটার মারে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী শামীম সুলতানা ও ইউটিএস বাংলাদেশের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. তৌফিক সাঈদ।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. অনুপম সেন বলেন, বর্তমান বিশ্ব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিশ্ব। প্রথম শিল্পবিপ্লব, দ্বিতীয় শিল্পবিপ্লব ও তৃতীয় শিল্পবিপ্লবের মাধ্যমে বিশ্ব বদলে গেছে। বিজ্ঞানই বিশ্বকে বদলে দিয়েছে। আগে বিজ্ঞান এগিয়েছিল ধীরে। এখন বিজ্ঞান দ্রুত এগুচ্ছে। এখন শুরু হয়েছে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব। সামনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি বিশ্বকে কীভাবে বদলাবে আমরা জানি না। কিন্তু সেটা যেন মানবকল্যাণকর ও প্রকৃতিবান্ধব হয়। সেজন্য সচেষ্ট হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৮ সালে আমি কানাডার ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার সময় অনেক চেষ্টা করেও চট্টগ্রামে আমার পরিবারে একটা টেলিফোন করতে পারিনি। আজ মোবাইল ফোনে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে মুহূর্তেই যোগাযোগ করা যায়। আজ ইন্টারনেটে বহু রকমের কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে করা যায়। বিজ্ঞানের নানা শাখার অগ্রগতি এখন বিস্ময়কর।
অনুষ্ঠানে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার খুরশিদুর রহমান, কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহীত উল আলম, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সহকারী ডিন এম. মঈনুল হক, বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৩
এমআর/টিসি