চট্টগ্রাম: বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের মধ্যে নগরে চলছে গণপরিবহন। যাত্রী সংকটে মহাসড়কে চলছে না দূরপাল্লার বাস।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকালে নগরের বিভিন্ন আন্তঃজেলা টার্মিনাল ঘুরে বড় বড় বাস ও চেয়ারকোচগুলোকে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
তবে অবরোধের মধ্যে টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রামের অভ্যন্তরীণ উপজেলাগুলোতে মিনিবাস, হিউম্যান হলার চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে চলছে পণ্যবোঝাই ট্রাক, কাভার্ডভ্যানও। নগরের ব্যস্ততম এলাকা নতুন ব্রিজ, নিউমার্কেট, মুরাদপুর, ষোলশহর, বহদ্দারহাট, জিইসি মোড় এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। চলছে বাস, টেম্পো, লেগুনাসহ অন্যান্য যানবাহন। তবে সড়কে ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা কম।
চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাজাহান বাংলানিউজকে বলেন, অভ্যন্তরীণ রুটের গাড়ি চললেও নিরাপত্তার শঙ্কায় চলছে না দূরপাল্লার বাস। তবে কিছু কিছু গাড়ি আমরা সকাল ও বিকেলে ছাড়ছি। দুপুরের দিকে যাত্রী কম থাকায় দূরপাল্লার বাস ছাড়া যাচ্ছে না।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কুমিল্লাসহ দেশের ১১৭টি রুটে নিয়মিত যানবাহন ছাড়ে। এর মধ্যে ৭-৮টি রুটে যানবাহনের সংখ্যা বেশি। নগরের বিআরটিসি বাস টার্মিনাল, শুভপুর বাস স্ট্যান্ড, কদমতলী বাস স্ট্যান্ড, তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু এলাকা, একে খান মোড়, অলংকার, বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব যানবাহন ছেড়ে যায়নি।
এদিকে অবরোধের মধ্যেও যেসব প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য পরিবহনে পুলিশের সহায়তা চাইছে তাদের পণ্য পুলিশ পাহারায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে পণ্যবোঝাই পরিবহন সবচেয়ে বেশি চলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে।
নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করার মতো। তারা বলছেন, যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা অবরোধেও গাড়ি চালাচ্ছি। নগরে সব ধরনের গণপরিবহন সচল আছে। কিন্তু মহাসড়কে নিরাপত্তার ভয়ে অনেকে গাড়ি নামাচ্ছেন না। এছাড়া যাত্রী না থাকায় গাড়ি ছাড়ছে না’।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৩
বিই/এসি/টিসি