চট্টগ্রাম: দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘কুরআনের নূর’ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর চট্টগ্রাম পর্বের অডিশনে অংশ নিয়েছে ২৬৭ জন অনূর্ধ্ব-১৬ হাফেজ। এর মধ্যে ১১ জনকে ইয়েস কার্ড দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারকেরা।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটি রোববার (২৬ নভেম্বর) সকালে নগরের বিশ্বরোডের পূর্ব বাকলিয়া (হাফেজ নগর) নেয়ামত নূর জামে মসজিদ ও ইসলামি শিক্ষা কেন্দ্রে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এ উপলক্ষে সারাদিন বসেছিল ক্ষুদে কুরআনের পাখিদের প্রাণের মেলা। চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি জেলার প্রতিযোগীরা সকাল আটটার আগেই কেন্দ্রে এসে উপস্থিত হন। রেজিস্ট্রেশন, আপ্যায়ন শেষে শুরু হয় অডিশন। একসঙ্গে চারটি বুথে হাফেজরা বিচারকের মুখোমুখি হন। সুললিত কণ্ঠের তেলাওয়াতে ভাবগম্ভীর পরিবেশের সৃষ্টি হয় অনুষ্ঠানস্থলে। আশপাশের বিভিন্ন হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীরা দেখতে আসেন প্রতিযোগিতার অডিশন পর্ব। বিশাল আয়োজন দেখে তাদের চোখেমুখে ছিল বিস্ময়।
কুরআন মুখস্থ, তাজবিদের অনুসরণ, কণ্ঠের মাধুর্য-এ বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়েই ইয়েস কার্ডের জন্য নির্বাচন করেছেন বিচারকরা।
প্রতিযোগিতার বিচারক বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম শায়খুল হাদিস মুফতি মুহিউদ্দীন কাসেম সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে জানান, চট্টগ্রামের অডিশনে ২৬৭ জন কুরআনে হাফেজ অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ১১ জনকে ইয়েস কার্ড দিয়েছেন বিচারকেরা। তারা জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে।
তিনি বলেন, কুরআনের নূর আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা দ্বিতীয় বারের মতো আয়োজন হচ্ছে। গত বছরের চেয়ে এবার সারা দেশে অনেক বেশি সাড়া পাচ্ছি। অন্যান্য প্রতিযোগিতা থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় এ আয়োজনে পুরস্কারের মান, ব্যবস্থাপনা অনেক বেশি সুন্দর। পুরস্কার ছাড়াও বিজয়ী, বিজয়ীর পরিবার ও ওস্তাদের ওমরা হজ পালনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। প্রথম বছর কুরআনের নূর প্রতিযোগিতা জাতীয় পর্যায়ের ছিল। এ বছর এটা জাতীয় পর্যায়ের গণ্ডী পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চলে গেছে। এত সুন্দর একটি আয়োজনের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালককে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। এই প্রতিযোগিতার ফলে কুরআনের পাখিদের মর্যাদা যেমন বাড়ছে তেমনি তারা সহিহভাবে শিখতে অনুপ্রাণিত হচ্ছে।
এবারের কুরআনের নূর প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ের প্রথম বিজয়ী পাবে ১০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় বিজয়ী পাবে সাত লাখ টাকা। তৃতীয় পুরস্কার পাঁচ লাখ টাকা। চতুর্থ ও পঞ্চম পুরস্কার দুই লাখ টাকা করে। এ ছাড়া ষষ্ঠ থেকে অষ্টম স্থান অর্জনকারী তিনজন পাবে এক লাখ টাকা করে পুরস্কার। এবারও জাতীয় পর্যায়ের আট বিজয়ী, তাদের পরিবার ও ওস্তাদকে ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব পাঠানো হবে।
প্রতিযোগিতার আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রথম বিজয়ী পাবে ১৫ লাখ টাকা। দ্বিতীয় বিজয়ী পাবে ১০ লাখ টাকা এবং তৃতীয় বিজয়ী পাবে সাত লাখ টাকা।
এ প্রতিযোগিতায় মিডিয়া পার্টনার কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ডেইলি সান, বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম, ক্যাপিটাল এফএম। পবিত্র রমজানে কুরআনের নূর সম্প্রচারিত হবে নিউজটোয়েন্টিফোর টেলিভিশনে।
>> ১০৫ দিনে কুরআনে হাফেজ ফাহিম
>> কুরআনের নূর: ক্ষুদে হাফেজদের প্রাণের মেলা চট্টগ্রামে
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি