চট্টগ্রাম: রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ইঞ্জিন সংকট দীর্ঘদিনের। এ কারণে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে বন্ধ রয়েছে প্রায় অর্ধশত ট্রেন।
আর মাত্র ক’দিন পর ঢাকা-কক্সবাজার রুটে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
জানা গেছে, ঢাকা-কক্সবাজার রুটের নতুন ট্রেনে মোট ১৬টি কোচে আসন আছে ৭৮০টি। চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১১৫টি আসন। শুরুতে পরিকল্পনা ছিল চট্টলা এক্সপ্রেসের ১২টি কোচ সম্বলিত রেক দিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন পরিচালনা করার। এতে আসন থাকার কথা ছিল প্রায় ৬০০-৭০০টি। ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে মোট ৯টি স্টেশনে থামবে।
এ লক্ষ্যে চট্টলা এক্সপ্রেসের রেকটি প্রস্তুত করা হলেও শেষ পর্যন্ত ইঞ্জিন না পেয়ে তা থেকে সরে আসে কর্তৃপক্ষ। এ বছর আর চালু হওয়ার সম্ভবনা নেই বলে জানান তারা।
২১ নভেম্বর ঢাকা-কক্সবাজার রুটে বাণিজ্যিক ট্রেনটির অনুমোদন দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। বিরতিহীন ট্রেনটির টিকিট শুধু ঢাকা থেকে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সমালোচনার মুখে পরদিন ২২ নভেম্বর চট্টগ্রামের যাত্রীদের জন্য দুটি কোচ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্বাঞ্চল) মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। ইঞ্জিনের যে সংকট রয়েছে সে সংকট কাটিয়ে উঠতে আরও তিন বছর সময় লাগতে পারে। একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তিন বছর পর ২০টি ইনক্রিমেন্টে মোট ৮০টি ইঞ্জিন আসবে।
চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০১ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে প্রায় ১৮,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে। প্রকল্পটির অধীনে ৯টি নতুন স্টেশন নির্মাণকাজ চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২৩
বিই/এসি/টিসি