চট্টগ্রাম: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমা দেওয়া মনোনয়ন ফরমে উল্লেখিত শিক্ষাগত সনদ নিয়ে আপত্তি তুলেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ের সময় এ আপত্তি তোলা হয়।
এসময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে আইনজীবী মুজিবুল হক রিটার্নিং কর্মকর্তা কাছের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর শিক্ষাগত সনদ নিয়ে আপত্তি জানান। হুইপ সামশুর মনোনয়নটি বৈধ ঘোষণা করলেও রিটার্নিং কর্মকর্তা আপিলের সুযোগ রয়েছে বলে জানান।
পরে অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক সাংবাদিকদের বলেন, মনোনয়ন ফরমে তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতা দিয়েছেন এইচএসসি পাস। যে সনদটি দাখিল করেছেন, সেখানে ক্রমিক নম্বর ও রোল নম্বর নেই। আবার বর্তমানে তিনি জাতীয় সংসদে হুইপের দায়িত্ব পালন করছেন। সেখানে তার শিক্ষাগত স্ট্যাটাস দেখিয়েছেন বি-কম পাস। সব মিলিয়ে তার শিক্ষাগত সনদ নিয়ে আপত্তি রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে আপিল করবেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখানে যেহেতু আপত্তি তোলা হয়েছে তাই কোনোভাবে আপিল না করার সুযোগ নেই। তবে এ ব্যাপারে আমার প্রার্থীর সঙ্গে আলাপ আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিন এ আসনে (চট্টগ্রাম-১২) চার প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। ১ শতাংশ ভোটারের গরমিলের অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইলিয়াস মিয়া ও গোলাম কিবরিয়া চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী এম এ মতিনের বিদুৎ বিল বাকি থাকায় এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন আয়কর না দেওয়ায় মনোনয়ন বাতিল হয়। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী এম ইয়াকুব আলীর মনোনয়ন বিকেল তিনটা পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়।
এর আগে সকালে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) এবং বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে চট্টগ্রাম-৯ (মহানগর) আসনের মনোনয়ন যাচাই বাছাই হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২৩
এমআর/টিসি