চট্টগ্রাম: ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের প্রতারণা মামলায় বনানী থানার বরখাস্তকৃত পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালত এই আদেশ দেন।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন, ই-অরেঞ্জ মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা আমানুল্লাহ, বিথী আক্তার, জায়েদুল ফিরোজ ও নাজমুল হাসান রাসেল।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ বাংলানিউজকে বলেন, মামলাটি তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (আজ) আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালত তা গ্রহণ করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর তৎকালীন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মোহাম্মদ রেজার আদালতে অগ্রিম টাকার পুরোটা পরিশোধের পরও মাসের পর মাস পণ্য ডেলিভারি না দেওয়ার অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নুরুল আবছার পারভেজ নামে এক গ্রাহক।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৭ মে এরপর থেকে বিভিন্ন সময় পণ্য ক্রয় করার জন্য ই-অরেঞ্জকে অর্থ প্রদান করেন এই গ্রাহক। নির্দিষ্ট সময়ের পরও এমনকি এখন পর্যন্ত গ্রাহককে কোনও পণ্য সরবরাহ করেনি। অর্ডার নেওয়ার পর থেকে ই-অরেঞ্জ কর্তৃপক্ষ ফেসবুকে নোটিশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহের আশ্বাস দেয়, কিন্তু তারা পণ্য সরবরাহ না করে দেশে প্রায় এক লাখ গ্রাহকের ১১শ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। আত্মসাৎ করা এ টাকার মধ্যে চট্টগ্রামের নুরুল আবছার পারভেজ, মোর্শেদ সিকদার ও মাহমুদুল হাসান খান নামের তিনজন ব্যবসায়ীর প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২৩
এমআই/টিসি