চট্টগ্রাম: শুষ্ক মৌসুমে অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো আর বর্ষায় দড়ি টানা নৌকা। এটাই দুই গ্রামের মানুষের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম।
সুয়াবিল ইউনিয়নের সিদ্ধাশ্রম, সুন্দরপুরের পাঁচপুকুরিয়া, ফটিকছড়ি, নাজিরহাট পৌরসভার অর্ধ-লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত এই সেতু দিয়ে।
স্থানীয়রা জানান, পাঁচ পুকুরিয়া ও পূর্ব সুয়াবিল গ্রামে ব্যাপক সবজির চাষ হয়। সেতু না থাকার কারণে সবজি বিক্রি করতে গেলে দ্বিগুণ দাম দিতে হয় কৃষকদের। সবজি বাজারে নেওয়ার জন্য ১০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। সবজি নিতে গুণতে হয় প্রতি গাড়িতে ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা। সেতু নির্মিত হলে ভাড়া হবে ১২০০ টাকা।
জানা গেছে, ১৩ নভেম্বর বিকেলে ফটিকছড়ির সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর পক্ষে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব। প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করবে এলজিইডি। কাজ শুরু করতে সময় লাগবে আরও ২ মাস। সেতুর সঙ্গে নির্মিত হবে প্রায় ১ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক। সেতু নির্মাণ হলে এতে দুই পাড়ের মানুষের যোগাযোগে দূরত্ব কমবে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার।
উপজেলা প্রকৌশলী তন্ময় নাথ বলেন, এ সেতুর মাধ্যমে সুয়াবিল এবং পৌরসভার একাংশের সঙ্গে ফটিকছড়ির লিংক রোড হবে। কৃষিপণ্য সহজে আনা-নেওয়া যাবে এবং মানুষের জীবনমান সহজ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২৩
বিই/এসি/টিসি