চট্টগ্রাম: গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসার পাশাপাশি স্বাভাবিক প্রসবে রেকর্ড করেছে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ও সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি স্বাভাবিক প্রসব সম্পন্ন হয়েছে।
ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মো. আরেফিন আজিম বলেন, এখানে ধনী-গরীব নির্বিশেষে সবাই আসেন স্বাভাবিক প্রসবের সুনাম শুনে।
তিনি বলেন, স্বাভাবিক প্রসবে সফলতা অর্জন করায় বিভিন্ন সময় পুরস্কৃত হয়েছে ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এ অঞ্চলের মানুষকে স্বাভাবিক প্রসবে উদ্বুদ্ধ করে আসছি। আমাদের চিকিৎসক, নার্স, মিডওয়াইফ সহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রচেষ্টায় এই সফলতা এসেছে।
স্বাস্থ্যসেবার র্যাংকিংয়ে চট্টগ্রাম জেলায় প্রথম স্থান অর্জন করে ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এছাড়া সারাদেশের মধ্যে ২৭তম অবস্থানে আছে এই চিকিৎসাকেন্দ্র।
এদিকে সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় প্রতিদিনই স্বাভাবিক প্রসবে জন্ম নিচ্ছে শিশু। গত এক বছরে এই হাসপাতালে এক হাজার ৪০০ শিশুর জন্ম হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। জটিল রোগীর সিজারিয়ান সেকশনও করানো হচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানান, শিশু জন্মের সময় জটিলতা দেখা দিলে অপারেশনের মাধ্যমে স্বাভাবিক প্রসবের বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়। এটাই সিজারিয়ান বা সি-সেকশন।
দেশে সিজারিয়ান সেকশন বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের প্রবণতা বাড়ছে। গত ৫ বছরে সিজারের ঘটনা ৩৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে (বিডিএইচএস)।
সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, এই হাসপাতালে একদিনে স্বাভাবিক প্রসবে ১৪ শিশুর জন্মও হয়েছে। এক বছরে জন্ম হয়েছে ১৪শ শিশুর। স্বাভাবিক প্রসবের পাশাপাশি হাসপাতালে প্রসব পূর্ববর্তী এএনসি সেবা পাচ্ছেন প্রসূতিরা। প্রসব পরবর্তী পিএনসি সেবাও নিচ্ছেন তারা। প্রসূতিদের সুরক্ষা নিশ্চিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে দেওয়া হয় প্রসূতি কার্ড। প্রসব না হওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে কাউন্সেলিং ও বিনা খরচে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২৩
এমআর/এসি/টিসি