ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ৩ স্বতন্ত্র ফিরে পেলেন প্রার্থিতা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
চট্টগ্রামে ৩ স্বতন্ত্র ফিরে পেলেন প্রার্থিতা  মো. গিয়াস উদ্দিন, আবদুচ ছালাম ও এম এ মোতালেব

চট্টগ্রাম: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিট না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া তিন আওয়ামী লীগ নেতা প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।  

এর আগে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক সইয়ে গড়মিল থাকায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

 

রোববার (১০ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শুনানিতে তিনজনই প্রার্থিতা ফিরে পান।  

প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া তিন আওয়ামী লীগ নেতা হলেন, চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনের মো. গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী, চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশের একাংশ) আসনের আবদুচ ছালাম এবং চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের এম এ মোতালেব।

এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেয়া ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের মধ্যে ত্রুটিপূর্ণতার অভিযোগে মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। মনোনয়নপত্র বৈধতা ফিরে পাওয়ার পর গিয়াস উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, প্রার্থিতা যখন বাতিল হলো, তখন শোকের ছায়া ছিল। আমি আজকে ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি মীরসরাইয়ের মানুষের ভালোবাসা ও তাদের অনুরোধে। আমি বিশ্বাস করি মীরসরাইয়ের আপামর জনসাধারণ আমাকে ৭ জানুয়ারি বিপুল ভোটে জয়ী করবেন।

অন্যদিকে গত ৩ ডিসেম্বর সকালে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে আবদুচ ছালামের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। মনোনয়ন ফিরে পাওয়ার পর আবদুচ ছালাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় সবাই আনন্দিত। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। আমরা পারিবারিকভাবে সবসময় মানুষের সঙ্গে ছিলাম, এখনও আছি। আমি সিডিএ চেয়ারম্যান ছিলাম। আমার নেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এ দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আল্লাহ আমার মাধ্যমে চট্টগ্রাম শহরের কী কী উন্নয়ন করেছেন, সেটা নগরবাসী জানেন। হয়তো আল্লাহ অবহেলিত বোয়ালখালীর উন্নয়নও আমার মাধমে করাবেন। হয়তো কালুরঘাট সেতু আমার হাত দিয়েই হবে। জনগণ আমার সঙ্গে আছেন, ইনশাল্লাহ আমি জয়ী হবো।

এছাড়া গত ৪ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে এম এ মোতালেবের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।  মনোনয়ন ফিরে পাওয়ার পর এম এ মোতালেব বাংলানিউজকে বলেন, অনেক ষড়যন্ত্রের পরও ন্যায়বিচার পেয়েছি। প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় সবাই আনন্দিত। আজই (রোববার) ঢাকা থেকে এলাকায় ফিরে নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু করব।  আমি বিশ্বাস করি সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ার আপামর জনসাধারণ আমাকে সাত জানুয়ারি বিপুল ভোটে জয়ী করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।