চট্টগ্রাম: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় অস্থায়ী শহীদ মিনার চত্বরে জেলা ও মহানগর সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের উদ্যোগে স্মরণানুষ্ঠান ও প্রদীপ প্রজ্বালন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সংগঠনের চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সরফরাজ খান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলার সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী'র সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত খ্যাতিমান সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. অনুপম সেন।
স্মরণানুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ডঃ অনুপম সেন বলেন, বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জাগরণের মধ্য দিয়ে অনেক ত্যাগ-তিতীক্ষা, আত্মদান ও দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথ পরিক্রমায় একাত্তরে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এর প্রতিটি ক্ষেত্রে নিরস্ত্র বাঙালিকে জাগ্রত করার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কালজয়ী নেতৃত্বে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি এ'দেশের বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধে বাঙ্গালির বিজয়ের ঊষালগ্নে ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৪ই ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে দখলদার বর্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে এদেশীয় রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহায়তায়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করে দেয়া।
এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি গণহত্যার অবিলম্বে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য জাতিসংঘের প্রতি দাবি জানান।
প্রধান বক্তা ড. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একাত্তরের ঘাতক ও মানবতাবিরোধী জামাত-মৌলবাদী অপশক্তির ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
বিই/পিডি/টিসি