চট্টগ্রাম: ১৪ ডিসেম্বর ইতিহাসের এক রক্তাক্ত অধ্যায়। জাতিকে মেধাহীন করতে রাতের অন্ধকারে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শিক্ষাবিদ গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যকদের নারকিয়ভাবে হত্যা করে এই দিনে।
দেশের এগিয়ে যাওয়ার স্তম্ভ সেই বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে দৃষ্টি চট্টগ্রাম আয়োজনে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘মুক্তির কথা শুনি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দৃষ্টি চট্টগ্রামের যুগ্ম সম্পাদক কাজী আরফাতের উপস্থাপনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক মুজিব রাহমান স্মৃতিচারণ আর গল্পের ফাঁকে ফাঁকে দেশের গান, আবৃত্তি, কবিতা আর উপন্যাস থেকে পাঠ করেন চট্টগ্রামের নন্দিত শিল্পী ওমর কায়সার, আ ফ ম মোদাচ্ছের আলী, জিন্নাহ চৌধুরী, বিভা ইন্দু, মুজাহিদুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন জুয়েল, মাইনুল আজম চৌধুরী, বর্ষা চৌধুরী মৌসুমী চক্রবর্তী, ফাইরুজ নাওয়াল দুর্দানা, সুমাইয়া ইসলাম, ইতু দত্ত, সায়রা শানাফা শ্রুতি সংগীত পরিবেশন করেন বনকুসুম বড়ুয়া নুপুর, শান্তনু দত্ত, অমি পাল, তুষার চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ৯ মাসের সংগ্রামে মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় চলে আসার প্রাক্কালে নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে জাতিকে মেধাশূন্য করতে নিষ্ঠুর পরিকল্পনা সাজায় হানাদার বাহিনী। বিজয়ের স্বাদ গ্রহণের আগে নিদারুণ যন্ত্রণা দিয়ে রাজধানীর রায়েরবাজার ও মিরপুরের বধ্যভূমিতে নিয়ে তাদের গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। দেশের মুক্তির জন্য রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম।
বক্তারা আরও বলেন, স্বাধীনতা এবং বঙ্গন্ধুকে কোনোভাবে আলাদা করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষকে স্বাধীনতারজন্য ঐক্যবদ্ধ করেছেন, তাদের মুক্তি দিশা দিয়েছেন। তাই বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক ও অভিচ্ছেদ্য। পাকবাহিনী পরাজয় সুনিশ্চিত জেনে বাঙালিকে পঙ্গু করার মানসে বুদ্ধিজীবীদের হত্যায় মেতে উঠেছিল। তাদের এই ঘৃণিত চক্রান্তে আমরা হারিয়েছে জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ বুদ্ধিজীবীদের।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
পিডি/টিসি