চট্টগ্রাম: প্রকল্পের অনিয়মের অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর
একটি দল।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুদক চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত-১ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হকের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে ওই প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) ঝুলন কুমার দাশের সঙ্গে বেশকিছু সময় কথা বলে দলটি। পরে দলটি চসিকের আরও কয়েকজন প্রকৌশলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
অভিযান শেষে দুদকের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানান, অভিযানে বেশকিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। নথিপত্রে দেখা গেছে অসমাঞ্জস্য। এমনকি ২০১৯ সালে যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, সেটার কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। দ্বিতীয় দরপত্রে কারা সবোর্চ্চ দরদাতা ছিল সেটার কোন কাগজপত্র নেই।
এ ব্যাপারে দুদকের সহকারী পরিচালক এনামুল হক বলেন, ২০১৯ সালে জাইকা কতৃর্ক লাইটিং এবং বৈদ্যুতিক পুলের একটি প্রজেক্ট ছিল। এটা নিয়ে দুদকে একটি অভিযোগ ছিল। সে অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজকে দুদক চট্টগ্রাম—১ থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা দেখেছি ২০১৯ সালে ৫টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছিল। পরে সেটা বাতিল হয়ে ২০২০ সালে রিটেন্ডার করা হয়। ওই রিটেন্ডারে একটি প্রতিষ্ঠান কাজ পায়।
তিনি আরও বলেন, অভিযানে দেখা গেছে ২০১৯ সালে টেন্ডারের কোনো কাগজপত্র আমাদের দেখাতে পারেনি। আর যাদের কে বাদ দেওয়া হলো কি কারণে বাদ দেওয়া হলো সেটা দেখাতে পারেনি। ইজিপিতে যেহেতু টেন্ডার হয়েছে, সেহেতু ইজিপিতে প্রধান প্রকৌশলীর আইডিতে ঢুকেও কোন কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। কাগজপত্র কেন নাই—এটার কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। দ্বিতীয়বার যে টেন্ডার হয়েছে সেখানে যে প্রতিষ্ঠান লোয়েস্ট (সর্বনিম্ম দরদাতা) তার কাগজপত্র আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
এমআই/পিডি/টিসি