চট্টগ্রাম: মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ তেইশ বছর আন্দোলন, লড়াই, সংগ্রাম এবং অতঃপর মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যূদয় ঘটে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি নির্বাচনী ট্রেন মিস করে এখন আবোল-তাবোল বকছে। তারা অবরোধ হরতালের নামে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে। চোরাগুপ্ত হামলায় পরিবহনে আগুন দিচ্ছে, গ্যাস সিলিন্ডার কাটার দিয়ে রেললাইন কেটে ফেলছে। তাই এই দলটি কিছুতেই গণতান্ত্রিক দল নয়। এটা একটি আন্ডারগ্রাউন্ড গুপ্ত ঘাতকের আস্তানা। এ আস্তানাকে অবশ্যই গুড়িয়ে দেওয়া হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বঙ্গবন্ধু যে লক্ষ্য নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন তা তিনি করে যেতে পারেননি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় একাত্তরের পরাজিত শক্তির প্রেতাত্মারা তাঁকে সপরিবারে খুন করেছে। এরপর বাংলাদেশ পাকিস্তানি ভাবধারায় নিমর্জ্জিত হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা ৬ বছর নির্বাসন শেষে দেশে ফিরে এসে দল ও জাতির হাল ধরেন।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে জাতিকে যে উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন তা অকল্পনীয়। আমরা অনেক সূচকে পাকিস্তানকে অনেক আগেই পিছনে ফেলেছি। ভারত একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ক্ষমতা সম্পন্ন দেশ। বেশকিছু সূচকে আমরা ভারতের চেয়ে এগিয়ে। অচিরেই ভারতে বিভিন্ন সূচকে আরো বেশি পিছনে ফেলে দেয়ার সক্ষমতা বাংলাদেশ অর্জন করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন যে, বিএনপি জেনে গেছে নির্বাচন হবে এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবেই। যারা বিদেশী প্রভুর পা ধরে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল তাদের প্রভুরাও বুঝে গেছে বিএনপি শিকড়হীন পরগাছা।
শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের আইন ও বিধিমালায় সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে, কোন রাজনৈতিক দল পর পর যদি দুইটি জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তাহলে ঐ দলের নিবন্ধন বাতিল হবে। ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচন করেনি, ২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচন করতে বাধ্য হয়। ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনও তারা বর্জন করেছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা যদি না আসে তাহলে তাদের নিবন্ধন থাকবে না। তাই তারা ঐ নির্বাচনে আসতে বাধ্য হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, শিক্ষা মানব সম্পদ সম্পাদক জালাল উদ্দিন ইকবাল, নির্বাহী সদস্য আবুল মনসুর, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, ড. নিছার উদ্দিন মঞ্জু, মোহাম্মদ জাবেদ, রোটারিয়ান হাজী মো. ইলিয়াস, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের রুহুল আমিন তপন, মো. এরশাদ উল্লাহ, জাফরুল হায়দার সবুজ, সাইফুল আলম বাবু, চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা যুবলীগের আহ্বায়ক সায়েরা বানু রুশনী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা শেখ মোহাম্মদ ইসহাক, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হাজী মো. হোসেন, মহিলা সম্পাদিকা জোবাইরা নার্গিস খান, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, উপসম্পাদক শহিদুল আলম, নির্বাহী সদস্য বখতিয়ার উদ্দিন খান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩
এমআর/টিসি