চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হচ্ছে বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যার হরতাল। হরতালে স্বাভাবিক রয়েছে অভ্যন্তরীণ যানচলাচল।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। চলছে বাস, টেম্পো, লেগুনাসহ অন্যান্য যানবাহন। তবে সড়কে ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা কম। নগরের মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট, জামালখান, অলংকার, এ কে খান, কর্নেলহাট, সাগরিকা মোড়, টাইগারপাস, ওয়াসা মোড়, জিইসি ও প্রবর্তক গণপরিবহনের উপস্থিত ছিল চোখে পড়ার মতো। হরতালের মধ্যে টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রামের অভ্যন্তরীণ উপজেলাগুলোতে মিনিবাস, হিউম্যান হলার স্বাভাবিক চলাচল করছে। এছাড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে চলছে পণ্যবোঝাই ট্রাক, কাভার্ডভ্যানও।
চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাজাহান বাংলানিউজকে বলেন, অভ্যন্তরীণ রুটের গাড়ি চললেও নিরাপত্তার শঙ্কায় চলছে না দূরপাল্লার বাস। তবে, কিছু কিছু গাড়ি আমরা সকাল ও বিকেলে ছাড়তেছি। দুপুরের দিকে যাত্রী কম থাকায় দূরপাল্লার ছাড়া যাচ্ছে না।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কুমিল্লাসহ দেশের ১১৭টি রুটে নিয়মিত যানবাহন ছাড়ে। এর মধ্যে ৭-৮টি রুটে যানবাহনের সংখ্যা বেশি। নগরের বিআরটিসি বাস টার্মিনাল, শুভপুর বাস স্ট্যান্ড, কদমতলী বাস স্ট্যান্ড, তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু এলাকা, একে খান মোড়, অলংকার, বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব যানবাহন ছেড়ে যায়নি।
এদিকে হরতালের মধ্যেও যেসব প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য পরিবহনে পুলিশের সহায়তা চাইছে তাদের পণ্য পুলিশ পাহারায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে পণ্যবোঝাই পরিবহন সবচেয়ে বেশি চলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে।
নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করার মতো। তারা বলছেন, যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তারা সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন।
সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি মোহাম্মদ মুছা বলেন, হরতালে আনোয়ারা, পটিয়া, বোয়ালখালী, বাঁশখালী, লোহাগাড়াসহ বিভিন্ন উপজেলায় ভেঙে ভেঙে বাস চলাচল করছে। তবে দূরপাল্লার যাত্রী না থাকায় ক্লোজডোর বাস চলেনি। রাস্তায় কোনো ধরনের সমস্যাও হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩
বিই/পিডি/টিসি