চট্টগ্রাম: ধুঁকে ধুঁকে চলছে মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জে অবস্থিত চট্টগ্রাম টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কার্যক্রম। জরাজীর্ণ ভবনে চাহিদার অর্ধেক শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান।
জানা যায়, ১৯১১ সালে পেরি প্যাটেটিক বুনন স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠান ১৯৬০ সালে ১৫ একর জায়গায় বর্তমান ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত করা হয়। ১৯৮০ সালে পেরি প্যাটেটিক বুনন স্কুলে টেক্সটাইল প্রযুক্তি বিষয়ে দুই বছর মেয়াদি সার্টিফিকেট কোর্স চালু করা হয়।
তবে পুরোনো ভবনে ল্যাবের যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ করা যাচ্ছে না। চাহিদার তুলনায় প্রজেক্টর কম। লাইব্রেরিতে নেই গবেষণার জন্য বিদেশি জার্নাল। প্রশাসনিক ভবনের দেওয়ালে জন্মেছে শ্যাওলা। খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তরা। হোস্টেলের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর। শ্রেণিকক্ষে লাইট-ফ্যান নষ্ট হয়ে আছে।
কলেজের শিক্ষকরা জানান, বর্তমানে চারটি বিভাগে প্রায় ৫৫০ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। বিভাগগুলোতে জনবলের তুলনায় কাজের চাপ বেশি। শিক্ষক কম থাকায় অতিথি শিক্ষক দিয়ে পাঠদান চলছে। পাশাপাশি শিক্ষক ও স্টাফ কোয়ার্টারের সংকট রয়েছে। নিয়োগবিধির জটিলতার কারণে পদোন্নতি না হওয়ায় শূন্য পদগুলো পূরণ করা যাচ্ছে না। কলেজের নিজস্ব যানবাহনও নেই।
মো. জুবায়ের নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, শহর থেকে দূরে হওয়ায় অতিথি শিক্ষকরা ক্লাসের সময়সূচি নির্ধারণ করে থাকেন তাদের সুবিধামতো। এতে ক্লাসের ধারাবাহিকতা নষ্ট হয়। খেলার মাঠ ডুবে থাকে পানিতে। কলেজটা ধুঁকে ধুঁকে চলছে।
চট্টগ্রাম টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী আজম রোকন বলেন, কারিগরি সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে সৃষ্ট পদের ৫০ শতাংশ শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। এডিবির অর্থায়নে প্রায় ২৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম একটি স্মার্ট টেক্সটাইল টেস্টিং লিভিং ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে কলেজে। দ্রুত প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২৩
এসি/টিসি