ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সচিবের ছেলের উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদনকারী শনাক্তে পুলিশের চিঠি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
সচিবের ছেলের উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদনকারী শনাক্তে পুলিশের চিঠি

চট্টগ্রাম: মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র নাথের ছেলের উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণে অজ্ঞাত আবেদনকারীকে শনাক্ত করতে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে পুলিশ।  

বৃহষ্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) থানা পুলিশ এই চিঠি বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠায়।

সচিবের পরিবার বলছে, অজ্ঞাত আবেদনকারী শনাক্ত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধ আইনে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।  

পুলিশ সূত্র জানায়, প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র নাথের ছেলে নক্ষত্র দেবনাথের এইচএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের জন্য পরিবার থেকে আবেদন করতে গিয়ে দেখা যায় কে বা কারা সব বিষয়ের ওপর পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করে, যা পাবলিক পরীক্ষা বিধিতে অনৈতিক এবং অপরাধ।

অজ্ঞাত ওই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে পরীক্ষার্থীর মা সম্প্রতি চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। বিষয়টি তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ প্রথমে অজ্ঞাত আবেদনকারীর ফোন নম্বর চেয়ে টেলিটক কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠায়। বৃহষ্পতিবার চিঠি পাঠানো হয় বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে। কারণ, উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন টেলিটকের মাধ্যমেই করা হয়।  

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ এম এম মুজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশ অজ্ঞাত ব্যক্তির ফোন নম্বর জানতে চেয়েছে। আমরা টেলিটক কর্তৃপক্ষকে আরেকটি চিঠি পাঠিয়ে ফোন নম্বরটি সংগ্রহ করে পুলিশকে লিখিতভাবে জানাবো। আসলে প্রতিটি পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর ব্যাংকের পাসওয়ার্ডের মতো। তৃতীয় পক্ষের কেউ চাইলে একজন পরীক্ষার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য জানতে পারেন না। এটা ওই পরীক্ষার অধিকার লঙ্ঘনের সামিল এবং যা সাইবার অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।  

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সন্তোষ চাকমা বলেন, পাবলিক পরীক্ষার বিধিতে সব পরীক্ষার্থীর ফলাফল অত্যন্ত গোপনীয় ও স্পর্শকাতর। কিন্তু নক্ষত্র দেবনাথের উত্তরপত্র কে বা কারা 
পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেন। তদন্ত করে ওই ব্যক্তিকে শনাক্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র নাথের ছেলে অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পায়। কিন্তু সে একটি বিষয়ে এ-প্লাস পায়নি। সেই বিষয়ের উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে গিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির আবেদন করার বিষয়টি নজরে আসে। ফলে নক্ষত্র নিজে কাঙ্খিত বিষয়ে আবেদন করতে ব্যর্থ হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩ 
বিই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।